শুক্রিবার, ১২ই মে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেব এবং বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ পিটিআই প্রধান ইমরান খানের জামিন আবেদনের শুনানি করেন।
গতকাল ১১ই মে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট খানের গ্রেফতারিকে বেআইনি ঘোষণা করে এবং আজ খানকে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে খানকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছিলো।
৯ই মে এর পরে ইসলামাবাদের এখতিয়ার ভুক্ত এলাকায় পিটিআই প্রধানের বিরুদ্ধে নথিভুক্ত কোনও মামলায় ১৭ই মে পর্যন্ত খানকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
শুনানির সময়, বিচারপতি আওরঙ্গজেব ইমরানকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি তার গ্রেপ্তারের পরে ঘটে চলা হিংসার নিন্দা করেন কি-না, পিটিআই প্রধান ইমরান খানের আইনজীবী ইতিবাচক জবাব দেন। বিচারক তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে একই কথা বলে আদালতে একটি ঘোষণা জমা দিতে বলেন।
আগের দিন, ডননিউজটিভি জানিয়েছে যে ইমরান খানের আইনজীবীরা চারটি অতিরিক্ত আবেদন দাখিল করেছেন যা ইসলামাবাদ হাইকোর্টকে খানের বিরুদ্ধে সমস্ত মামলা একজায়গায় আনার এবং তার বিরুদ্ধে নথিভুক্ত করা মামলার বিবরণ দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
প্রায় দুই ঘন্টা বিলম্বের পরে প্রাথমিকভাবে শুনানি শুরু হয়। মিডিয়া জানিয়েছে যে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আদালতের বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত কররার কর্মসূচি চালানোর জন্য এই বিলম্ব ঘটে।
কিন্তু জুমার নামাজের কারণে দুপুর ১টায় শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তাদের থামিয়ে দেওয়া হয়।অন্যদিকে জিও নিউজ জানিয়েছে যে বিচারকরা “ইমরানপন্থী” স্লোগান তোলার পর আদালত কক্ষ ত্যাগ করেছেন।
মুক্তির পর ইমরান খান সাংবাদিকদের বলেন “আমাকে সেনাবাহিনী অপহরণ করেছিলো,জেলে নিয়ে যাওয়ার পর আমাকে পরোয়ানা দেখানো হয়! কোথায় গেল পুলিশ, কোথায় আইন, এখানে জঙ্গল রাজ চলছে”