মেতেই সম্প্রদায়ের তফসিলি উপজাতি (ST) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াকে কেন্দ্র করে মনিপুরে আদিবাসীদের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘাত তুঙ্গে উঠেছে বুধবার, ৩রা মে। দুষ্কৃতিরা বেশ কিছু বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে বলে খবর। এই হিংসার প্রতিক্রিয়ায় রাজ্য সরকার রাজধানীর ইম্ফল সহ ১৬ টি জেলায় পাঁচ দিনের কার্ফু জারি করেছে। পরিস্থিতি সামলাতে মনিপুর সরকার দেখলেই গুলি (Shoot at sight) চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
মনিপুরের হাইকোর্ট গত ১৯ শে এপ্রিল নির্দেশ জারি ক’রে মেতেই সম্প্রদায়ের মানুষদের তফসিলি উপজাতি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বলে। হাইকোর্টের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন মনিপুর (ATSUM) বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে। আন্দোলনকারীরা মনে করেন মুলত সমতলে বসবাস করা সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং ক্ষমতাবান মেতেইরা যদি তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতি পেয়ে যায় তবে মূলত পাহাড়ে বসবাসরত কুকি, চিন, ঝো সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের সাংবিধানিক সুরক্ষা হারাবে।
মেতেই’দের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে বুধবার মনিপুরের সাতটি জেলায় “আদিবাসী সংহতি পদযাত্রা” বিক্ষোভ সংগঠিত করে ATSUM। প্রায় ৫০,০০০ জন এই পদযাত্রার অংশগ্রহণ করে বলে জানা যাচ্ছে। মিছিলকে কেন্দ্র করে চুড়াচন্দপুর, মইরাঙ, মতবাং, মরেহ প্রভৃতি অঞ্চলে বিবাদমান পক্ষগুলির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটে।
অলিম্পিক পদক জয়ী বক্সার এবং রাজ্য সভার সাংসদ মেরি কম একটি ট্যুইট বার্তায় আবেদন করেছেন সাজায্য চেয়ে, তিনি লিখেছেন, “আমার রাজ্য মনিপুর জ্বলছে, দয়া করে সাহায্য করুন।”
হিংসা জর্জরিত মনিপুরে শান্তি ফেরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আর্জি জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মনিপুরের ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি ট্যুইট বার্তায় তিনি তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন, এটা রাজনীতি করার সময় নয়, সবার উচিৎ একসাথে কাজ করা। তিনি মনিপুরি জনতার প্রতি শান্তির আহ্বান জানান।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আইন শৃঙ্খলার অবনতিতে উদ্বগ প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রীর উচিৎ সেখানে স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া। এবং তিনি মনিপুরি জনতাকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।