জাপানের পুলিশ বলছে যে, তারা পশ্চিম জাপানের একটি বন্দরে বোমা নিক্ষেপ করেছেন বলে মনে হওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। উল্লেখ্য, সেখানে প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল, জানিয়েছে জাপানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে।
পুলিশের ভাষ্যানুযায়ী, সন্দেহভাজন ঐ ব্যক্তি হলেন হিয়োগো জেলার কাওয়ানিশি শহরের বাসিন্দা ২৪ বছর বয়সী কিমুরা রিউইজি।
তাদের ভাষ্যমতে, ঘটনাস্থলে একজন আধিকারিক সামান্য আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে, কিশিদা ওয়াকাইয়ামা জেলার সাইকাযাকি বন্দর পরিদর্শন করছিলেন।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার আয়োজন বাতিল করা হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “আমি সন্দেহভাজন ব্যক্তিটিকে মাটিতে ফেলে দেয়ার প্রায় ১০ সেকেন্ডের মধ্যে একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনি। আমি জানি না এটি ঠিক কী ছিল, তবে এমন মনে হয়েছে যে আমার পাশ দিয়ে মাত্র উড়ে যাওয়া একটি বস্তু থেকেই এই বিস্ফোরণের শব্দ এসেছে।”
কিশিদার ভাষ্যমতে, তিনি একটি প্রচারণা অনুষ্ঠানে তার অদূরে একটি বস্তুকে নিক্ষিপ্ত হতে দেখেন এবং বিস্ফোরণের মুহূর্তখানেক আগেই সেখান থেকে সরে যান।
দিনের পরের ভাগে অবশ্য কিশিদা জেআর ওয়াকাইয়ামা স্টেশনের সামনে বক্তব্য রাখেন।
কিশিদা বলেন, “আমরা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন করছি এবং এটির শেষ পর্যন্ত দেখতে আমাদের একত্রে কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, আগামী ২৩শে এপ্রিল জাপানের স্থানীয় নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা ছোট পৌরসভাগুলোর মেয়র এবং আইন পরিষদের সদস্যদের বেছে নেবেন।
একই দিনে সংসদের নিম্ন ও উচ্চকক্ষের পাঁচটি শূন্য আসন পূরণের জন্য উপনির্বাচনও অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই মাসে নারা শহরে নির্বাচনী প্রচারের বক্তৃতা দেওয়ার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজোকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
এই ঘটনায় ৪২ বছর বয়সী ইয়ামাগামি তেৎসুইয়াকে হত্যা’সহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।