Close

সুদানে গোলাগুলি, নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার নির্দেশ ভারতীয়দের

রাজধানী খার্তুমে সামরিক বাহিনী বনাম আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় সুদানের বসবাসকারি ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে।

https://twitter.com/i/status/1647365004142825473

সুদানের রাজধানী খার্তুমে সামরিক বাহিনী বনাম আধাসামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে গোলাগুলির ঘটনায় সুদানের বসবাসকারি ভারতীয়দের উদ্দেশ্যে সতর্কতা জারি হয়েছে।

খার্তুমে ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক ট্যুইট বার্তায় জানানো হয়েছে, “গোলাগুলি এবং সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত ভারতীয়কে জানানো হচ্ছে যে আপনারা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করুন, ঘরের ভেতর থাকুন, যত শীঘ্র সম্ভব বাইরে বেরোন বন্ধ করুন এবং, অনুগ্রহ করে শান্ত থাকুন এবং অপেক্ষা করুন পরবর্তী নির্দেশের জন্য।”

ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক ট্যুইট বার্তা।


নিয়মিত সেনাবাহিনীতে আধাসামরিক র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF)-র অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে সামরিক নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার দুই নম্বর আধাসামরিক কমান্ডার মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল। তারই ফলশ্রুতিতে গতকাল সুদানে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ সুদানে RSF-র ঘাঁটির কাছে সংঘর্ষ হয়, ব্যাপক গোলাগুলি এবং বিস্ফোরনের আওয়াজ শোনা গেছে। RSF জানিয়েছে তারা খার্তুম বিমানবন্দরের সম্পূর্ণ দখল নিয়েছে।

বন্দুকের আওয়াজ শোনা গেছে বিমানবন্দরের আশেপাশে, বুরহানের বাসস্থানের আশেপাশে এবং উত্তর খার্তুম অঞ্চলে। আশ্রয়ের জন্য সাধারণ মানুষকে রাস্তায় ছোটাছুটি করতে দেখা যায় বলে সংবাদ সংস্থা AFP জানিয়েছে।

দু-পক্ষই প্রতিপক্ষকে এই সংঘাতের জন্য দায়ী করেছে।

“সেনাবাহিনীর একটি বড় বাহিনী খার্তুমের সোবায় RSF-এর ক্যাম্পে আচমকা হামলা করে এবং সেখানে আধাসামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রন নেয়,” RSF একটি বিবৃতিতে বলে। “সব ধরনের ভারী ও হালকা অস্ত্র দিয়ে ব্যাপক আক্রমণ” চলছে। RSF জানিয়েছে, তারা খার্তুমের উত্তরে মেরোওয়ে বিমানবন্দরেরও নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাবিল আবদুল্লাহ AFP কে বলেছেন, “RSF-র যোদ্ধারা খার্তুম এবং সুদানের আশেপাশে বিভিন্ন সেনা ক্যাম্পে হামলা চালায়।” “সংঘর্ষ চলছে এবং সেনাবাহিনী দেশ রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে।” নীল নদের উপর যে ব্রিজ ওমদুরমান এবং উত্তর খার্তুমের সাথে সংযোগ স্থাপন করে, তা তারা বন্ধ করে দেয়। তারা রাষ্ট্রপতি ভবনের রাস্তাও বন্ধ করে দেয়।

সামরিক নেতা বুরহান এবং তার দুই নম্বর, RSF কমান্ডারের মধ্যে চলমান বিতর্কের উদ্দেশ্য দুটি, এক, দেশকে সামরিক শাসন থেকে মুক্ত করা এবং দুই, ২০২১ এ তাদের অভ্যুত্থানের ফলে তৈরি হওয়া সংকটের অবসান ঘটানো।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, RSF কে সামরিক বাহিনীতে একীভূত করার একটি পরিকল্পনাই এই বিতর্কের অন্যতম প্রধান বিষয়।

Leave a comment
scroll to top