একজন অজ্ঞাত ইজরায়েলি আধিকারিকের বরাত দিয়ে সৌদি সংবাদমাধ্যম ইলাফ জানিয়েছে যে, সিরিয়ার ভূমিকম্পের পীড়িতদের জন্যে পাঠানো ইরানের বিমানে হামলা চালাতে পারে ইজরায়েল।
ইজরায়েলের ঐ কর্মকর্তার দাবি, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ায় মানবিক সাহায্যের নামে ইরান আসলে অস্ত্র পাঠাতে পারে। তার দাবি ইরান ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতি কে কাজে লাগিয়ে আমেরিকা-ইজরায়েলের বিরোধী রাজনৈতিক-সামরিক শক্তি লেবাননের হেজবোল্লাহ-র মতন সংগঠনকে অস্ত্র,গোলা,বারুদ পাঠাচ্ছে বলে গোয়েন্দা তথ্য আছে। তাই জল, স্থল বা আকাশ পথে সিরিয়ার ভূমিকম্প পীড়িতদের জন্যে পাঠানো ইরানের ত্রাণের উপর নজর রাখছে ইজরায়েল।
ওই ইজরায়েল কর্মকর্তার দাবি, সিরিয়ায় ভূমিকম্পের ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে ইরান লেবাননের জায়নবাদী আগ্রাসন প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর কাছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাঠাতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে ইরান-সমর্থিত লেবাননের হেজবোল্লাহ প্রতিরোধের বিরুদ্ধে ইজরায়েল হামলা করে আসছে।
সিরিয়ার ভূমিকম্পের পীড়িতদের জন্যে পাঠানো ইরানের ত্রাণের উপর হামলা করার পরিকল্পনা আসলে যে শুধুই হেজবোল্লাহ-ইরানের উপর আক্রমণের নতুন ফন্দি নয়, বরং সিরিয়ার মতন মার্কিন-ইজরায়েল-বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে তেল আভিভের একটা ষড়যন্ত্র, সে কথা মনে করছেন ভূ-রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এই বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি প্রতিক্রিয়া ইরান বা সিরিয়া জানায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গত ৬ই ফেব্রুয়ারি ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক এবং সিরিয়া এই দুই দেশে ব্যাপক ক্ষতি হলেও আমেরিকা, ইজরায়েল সহ পশ্চিমা মহাশক্তিধর দেশ গুলোর সাহায্য বরাদ্দ হয়েছে শুধুমাত্র তুরস্কের জন্য। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে দীর্ঘদিন ধরে জর্জরিত সিরিয়ায় উদ্ধার এবং পুনর্গঠন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া, চীন, ভারত, ইরান, আফগানিস্তান সহ কিছু দেশ দুই ক্ষতিগ্রস্ত দেশকেই সাহায্য করবে বলে জানিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে সিরিয়ার ভূমিকম্পের পীড়িতদের জন্যে পাঠানো ইরানের ত্রাণবাহী বিমানের উপর যদি ইজরায়েল হামলা করে তাহলে মধ্য-প্রাচ্যে নতুন করে বড় ধরণের তিক্ততা সৃষ্টি হতে পারে এবং সিরিয়ার মতন প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত দেশের মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছানো ও উদ্ধারকার্যে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।