আফগানিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক দিনের ভারী তুষারপাত এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ১৫টি প্রদেশে কমপক্ষে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও শীতজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে অন্তত ১৬ জনের।
সোমবার, ১৬ই জানুয়ারি, আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ ও ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।আফগানিস্তানের একাধিক অঞ্চলে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে। এমনকি কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা মাইনাস -৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসও হয়ে গেছে।
গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, তীব্র শীতে স্থানীয় দরিদ্র মানুষ বেশি কষ্ট পাচ্ছে। রান্নার জন্য বা নিজেদের শরীর গরম রাখার জন্য দেশটিতে প্রয়োজনীয় জ্বালানিকাঠের অভাব তীব্র আকার ধারণ করেছে।
আফগানিস্তানের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়ার দ্বারা প্রভাবিত প্রদেশগুলোর মধ্যে রয়েছে জাবুল, গজনি, হেরাত, পাঞ্জশের, লাঘমান, কুনার, নুরিস্তান, পাকতিয়া, ঘোর, কান্দাহার, বাঘলান, নানগারহার, কাপিসা, পারওয়ান এবং বামিয়ান।
কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, তুষার ও বর্ষণের কারণে ৫৯টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এছাড়া তীব্র তুষারপাতে আফগানিস্তানের মধ্য ও উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকটি প্রধান সড়ক বন্ধ হয়ে গেছে। বাদঘিসের মতো প্রদেশে প্রচণ্ড শীতের কারণে অন্তত চার হাজার গবাদি পশু মারা গেছে।
বাদঘিসের গভর্নরের মুখপাত্র আহমেদ হানজালা বলেন, হাইপোথার্মিয়ার কারণে একজন মেষপালক এবং চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে খোস্ত প্রদেশে পাঁচজন এবং ফারিয়াব ও জাওজানে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া সার-ই-পুলে আবহাওয়ার কারণে একজন মারা গেছে এবং বাঘলানে পাঁচজন মাদকাসক্ত মারা গেছে। এমন এক সময় আফগানিস্তানে তীব্র শীত দেখা দিল যখন, দেশটির জনগণ তালেবান শাসনের অধীনে দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং নারী অধিকারের নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।