নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত হওয়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটির কো-পাইলট ছিলেন অঞ্জু খাতিওয়াদা।বিমানের ক্যাপ্টেন হওয়ার স্বপ্ন থেকে মাত্র কয়েক সেকেন্ড দূরে ছিলেন তিনি। তবে তার আগেই সেই স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে গেল মুহূর্তের বিমান দুর্ঘটনায়।
নেপালের দুর্ঘটনাগ্রস্ত উড়ানটি কো-পাইলট হিসাবে অঞ্জু খাতিওয়াদার শেষ ফ্লাইট ছিল। রবিবারের ফ্লাইটটি সফলভাবে অবতরণ করাতে পারলেই তিনি হয়ে যেতেন বিমানের ক্যাপ্টেন।
তবে এর চেয়েও মর্মান্তিক তথ্য হলো, ১৬ বছর আগে বিমান দুর্ঘটনায়ই নিজের স্বামী দীপক পোখরেলকে হারান অঞ্জু। আর সেটিও ছিল ইয়েতি এয়ারলাইন্সেরই একটি ফ্লাইট।
![](https://bangla.eastpost.in/wp-content/uploads/2023/01/anju-khatiwada-file.jpeg)
২০০৬ সালের ২১শে জুন নেপালগঞ্জ থেকে জুমলা যাওয়ার পথে ইয়েতি এয়ারলাইন্সের ৯এন এইকিউ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। সেই বিমানের কো-পাইলট ছিলেন অঞ্জুর স্বামী দীপক পোখরেল। ওই দুর্ঘটনায় ছয় যাত্রী ও তিন ক্রুর সাথে নিহত হন পোখরেল।
![](https://bangla.eastpost.in/wp-content/uploads/2023/01/nepal-yeti-airlines-crash-rescue-1024x712.jpeg)
স্বামীর ক্যাপ্টেন হওয়ার অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করতে নিজেও পাইলট হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অঞ্জু। ক্যাপ্টেন হতে হলে একজন পাইলটকে ১০০ ঘণ্টা উড়োজাহাজ চালানোর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়। নেপালের প্রায় সব বিমানবন্দরে সফলভাবে অবতরণ সম্পন্ন করেছিলেন অঞ্জু। তবে স্বপ্ন পূরণের মাত্র ১০ সেকেন্ড আগে মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন অঞ্জু।
![](https://bangla.eastpost.in/wp-content/uploads/2023/01/nepal-yeti-crash-rescue-1024x692.jpeg)
অঞ্জুর সাথে ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন কমল কেসি।বিমান চালানোয় ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতা ছিল তাঁর। ফ্লাইটের বাকি ৭১ আরোহীর সাথে মৃত্যু হয়েছে তাঁরও। উল্লেখ্য, রবিবারের এই দুর্ঘটনায় বিমানের ৭২ আরোহীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি দুইজনের বাঁচার আশাও ক্ষীণ বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।