Close

সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার আবেদন, মামলাকারীকে জরিমানা সুপ্রিম কোর্টের

সংরক্ষণ ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। মামলাকারীকে ২৫০০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।

সংরক্ষণ ধাপে ধাপে তুলে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। মামলাকারীকে ২৫০০০ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।

সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিয়ে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়িয়ে রয়েছে বর্তমান সমাজে। বিজেপি সহ দেশের অন্যান্য অতি দক্ষিণপন্থী দল গুলির রাজনৈতিক এজেন্ডাও কার্জত সংরক্ষণ বিরোধী। কিন্তু দেশের অনেক উন্নতি হলেও কার্যক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া মানুষের কতটা উন্নতি হয়েছে তা বিতর্কের বিষয়। গতমাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যুক্তরাষ্ট্রের কলেজ গুলির ভর্তির প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে নাকচ করেছে মার্কিন আদালত। এবার দেশেও সংরক্ষণ তুলে দেওয়া নিয়ে মামলা। কিন্তু এই মামলা খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

বর্তমানে দেশে যে সংরক্ষণ ব্যবস্থা রয়েছে তা ধাপে ধাপে সরিয়ে দিয়ে একটি বিকল্প পদ্ধতি লাগু করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলা। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি.ওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিংহের বেঞ্চে ওঠে এই মামলা। তাঁরা মামলা খারিজ করার পাশাপাশি পিটিশনারের উপর ২৫০০০ টাকার জরিমানা ধার্য করেন। এই দিন, কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, “এই জনস্বার্থ মামলা আদালতের প্রক্রিয়ার অপব্যবহার। আমরা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের কল্যাণ তহবিলে ২৫ হাজার টাকার অনুদান প্রদানের নির্দেশ দিচ্ছি। অর্থ প্রদান কররা রসিদ ২ সপ্তাহের মধ্যে পৌঁছতে হবে।”

এছাড়াও ওই একই বেঞ্চ, রিজার্ভেশন ব্যবস্থা তুলে দিয়ে সমাজে বর্ণ ব্যবস্থার পুনর্শ্রেণীকরণের জন্য একই আবেদনকারীর দায়ের করা আরেকটি পিআইএল পিটিশনও খারিজ করেছে। এই ধরনের জনস্বার্থ মামলা রোখার জন্যও কড়া বার্তা দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই ধরণের মামলা আসলে আদালতের ক্ষমতা কে খর্ব করে দেখা এবং আদালতে সময় নষ্ট করা‌। উক্ত মামলায় আবেদনকারীর উপর ১ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, সংরক্ষণ নিয়ে একাধিক মামলা এযাবৎকালে উঠে এসেছে দেশের বিভিন্ন আদালতে। সদ্য মহারাষ্ট্রে বম্বে হাইকোর্টে একটি মামলা ওঠে তৃতীয় লিঙ্গের জন্য শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সংরক্ষণ দেওয়ার দাবিতে। সেই আর্জি নিয়ে মামলা বম্বে হাইকোর্টে যেতেই রাজ্য সরকারের তরফে আসে বার্তা। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, শিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে তারা তৃতীয় লিঙ্গের জন্য আলাদা রিজার্ভেশন দিতে পারবে না। বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নীতীন জামদার ও বিচারপতি সন্দীপ মারানের বেঞ্চে ওঠে মামলা। রাজ্য সরকার জানায়, তৃতীয় লিঙ্গের জন্য সংরক্ষণ দেওয়া হলে তা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিত তৃতীয় লিঙ্গ বিষয়ক নিয়মকে ভঙ্গ করবে।

Leave a comment
scroll to top