৮০ শতাংশ মানুষ বেছে নিচ্ছেন ২০০০ টাকার নোটের ডিপোজিট। কী বলছে RBI? দেশের মানুষের এই ডিপোজিট করার এই প্রবণতার ফলে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ডিপোজিট বাড়তে আরম্ভ করবে। বলছে একটি রিপোর্ট। ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) ঘোষণা করে দিয়েছে যে, ২০০০ টাকার নোটের সার্কুলেশন বন্ধ করতে চলেছে ব্যাঙ্ক। ফলে এই নোটের বৈধতা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত থাকবে।
ব্যাঙ্কগুলি ২৩ মে থেকে এই নোটের এক্সচেঞ্জ ও ডিপোজিটের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আর তাতেই দেখা গিয়েছে যে, দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ এই নোট এক্সচেঞ্জের থেকে ডিপোজিট করছেন।
২০০০ টাকার নোট এক্সচেঞ্জ ও ডিপোজিট করার নিয়ে ছয়টি পাবলিক ও প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। রয়টার্সের রিপোর্ট বলছে, ৮০ শতাংশ মানুষ ব্যাঙ্কগুলিতে টাকা এক্সচেঞ্জের থেকে ডিপোজিটকেই বেছে নেয়।
দেশের মানুষের এই ডিপোজিট করার এই প্রবণতার ফলে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে ডিপোজিট বাড়তে আরম্ভ করবে। প্রসঙ্গত, এক্সচেঞ্জ করার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ টাকার অঙ্ক ২০ হাজার। আর ডিপোজিটের ক্ষেত্রে সেই টাকার অঙ্কের কোনও সীমা নির্ধারণ করেনি RBI। RBI সূত্রে খবর, যে সময় এই ২০০০ টাকার নোট বতিলের কথা হয়, সেই সময়ে সার্কুলেশনে থাকা ওই পরিমাণ টাকার মূল্য ছিল ৩৬ লাখ টাকা।
জানা গিয়েছে, ২৩ মে থেকে এই নোট জমা বা বদলের যে প্রক্রিয়া ব্যাঙ্কে শুরু হয়েছে, তাতে স্টেট ব্যাঙ্কে প্রথম সপ্তাহেই ১৭০০ কোটি টাকার অঙ্কের নোট জমা পড়েছে। বর্তমানে দেশের ‘ব্যাঙ্ক ডিপোজিট গ্রোথ’ ১০.৯ শতাংশ। ২০০০ এর নোট এক্সচেঞ্জের থেকে ডিপোজিট বেশি হলে তাতে ব্যাঙ্কের ‘ডিপোজিট গ্রোথ’ বাড়বে জানাচ্ছে RBI। সেক্ষেত্রে বাজারে টাকার সরবরাহ বা কারেন্সি সার্কুলেশন কমবে। ইতিমধ্যেই ২৬ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে পড়েছে ৩৬৫০ কোটি টাকা। এতে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানাচ্ছে RBI।