২০১৯ এর একটি মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার জন্য রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে গেল শুক্রবার, ২৪শে মার্চ। গত বৃহস্পতিবার, ২৩শে মার্চ, সুরাটের একটি আদালত রাহুল গান্ধীকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে তার বিরুদ্ধে দুই বছরের কারাদন্ডের রায় দেয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, রাহুল ২০১৯ এ কর্ণাটকের একটি জনসভায় বক্তৃতা রাখার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে আর্থিক প্রতারণায় দোষী নীরব মোদী ও ললিত মোদীর সখ্যতার অভিযোগ তুলে বলেন যে সব প্রতারকদের পদবী মোদী কীভাবে হয়। এরপরেই তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হয়।
সুরাটের আদালতের রায় প্রকাশের পরেই শুক্রবার রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের সিদ্ধান্ত নেয় লোকসভার সচিবালয়। লোকসভার সচিবালয় বক্তব্যে জানায় যে ১৯৫১ র রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপলস অ্যাক্টের ৮(৩) অনুচ্ছেদ ও ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)(e) অনুযায়ী রাহুল গান্ধীর কেরালার ওয়ানাড়ের সাংসদ পদ খারিজ করা হল।
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পরেই কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে। কংগ্রসে ভারতের শাসক দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) কে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের চক্রান্তে অভিযুক্ত করতে থাকে।
কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়ে বলে যে গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগের তদন্তের জন্য যৌথ সাংসদীয় কমিটি (JPC) র দাবী জানানোর জন্যই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য গৌতম আদানির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তোলার পর থেকেই কংগ্রেস আদানি গোষ্ঠী এবং বিজেপির অশুভ আঁতাত নিয়ে অভিযোগ তুলতে থাকে।
রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ অবশ্য রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলির মধ্যে মতানৈক্য দূর করে তাদেরকে কাছাকাছি এনে দিয়েছে। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন।