Close

শিবসেনার প্রতীক দ্বন্দ – নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশে নারাজ সুপ্রিম কোর্ট

মহারাষ্ট্রে শিবসেনার গোষ্ঠীকোন্দলের পরিপ্রেক্ষিতে আজ, বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারি, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এর সাথে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে করা পিটিশনের জবাব দিতে আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে গেল ১৪টি বিরোধী রাজনৈতিক দল।

মহারাষ্ট্রে শিবসেনার গোষ্ঠীকোন্দলের পরিপ্রেক্ষিতে আজ, বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারি, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেবে না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এর সাথে একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীকে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে করা পিটিশনের জবাব দিতে আদেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীকেই প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতিতে শিবসেনার নির্বাচনী প্রতীক তীর ও ধনুক ব্যবহারের বৈধতা পায় শিন্ডে গোষ্ঠী। নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল ঠাকরে পক্ষ। ঠাকরে গোষ্ঠীর হয়ে সওয়াল করেন কংগ্রেসের নেতা ও আইনজীবি কপিল সিবাল। তিনি সাংবিধানিক বেঞ্চের নিকট প্রশ্ন করেন নির্বাচন কমিশনের শিন্ডের গোষ্ঠীর পক্ষে অবস্থান নেওয়া ভবিষ্যতের জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত হয়ে থাকল কিনা। সিবাল এই কথাও বলেন নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে পরবর্তীকালে গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হওয়া যেকোনো সরকারকে ষড়যন্ত্র করে ফেলে দেওয়া হতে পারে।

সংবিধানের দশম তফসিলের উল্লেখ করে সিবাল সওয়াল করেন যে ২০২২ এর ২৭ জুন সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ে শিন্ডে গোষ্ঠীকে শিবসেনা থেকে বহিষ্কারের বিরুদ্ধে আপিল করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছিল সেই রায় আদৌ দেওয়া উচিত হয়েছিল কিনা। তিনি তার সওয়ালে আরও বলেন যে ২৭ জুনের দুদিন পরেই ২৯ জুন আরেকটি রায়ে শিন্ডে গোষ্ঠীকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করার অনুমতি দেওয়া হয়, যার বদলে মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকারকেই হয়ত দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল দল থেকে বহিষ্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার।তিনি এরপর যোগ করেন যে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের মতো শিবসেনারও একটি নির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র আছে, সেই গঠনতন্ত্র মেনে দলের অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত যে কোন পক্ষ প্রকৃত শিবসেনা; শুধুমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে বলেই শিন্ডে পক্ষ প্রকৃত শিবসেনার তকমা পেতে পারেনা।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এম আর শাহ, বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পি এস নরসিমহা নিয়ে গঠিত সাংবিধানিক বেঞ্চ এরপর ঠাকরে পক্ষের কাছে জানতে চেয়েছিল তাদের স্বস্তির জন্য কোর্ট কী করতে পারে।জবাবে সিবাল সর্বোচ্চ আদালতকেই দল থেকে বহিষ্কারের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ জানান, কারন হিসেবে তিনি বলেন যে নতুন স্পিকার রাহুল নারবেকার শিন্ডে গোষ্ঠীর সমর্থন পেয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন, তাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয়।

Leave a comment
scroll to top