Close

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের “প্রধান বিঘ্নকারী” আখ্যা চীনের

ওয়াশিংটনকে “পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিঘ্নকারী” আখ্যা দিয়ে তিরষ্কার করল বেইজিং।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েকবছর ধরেই কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিশ্বের “প্রধান বিঘ্নকারী” আখ্যা চীনের

ছবি সত্ত্ব: গ্লোবাল টাইমস

ওয়াশিংটনকে বিশ্বের “প্রধান বিঘ্নকারী” আখ্যা দিয়ে তিরষ্কার করল বেইজিং। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চীনকে নিয়ে সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে চীন পাল্টা মার্কিনিদের বিরুদ্ধেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর একাধিপত্য বিস্তার করার অভি্যোগ আনল।

মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে চীনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনকে মার্কিন ডেপুটি সেক্রেটারি অব স্টেট, ওয়েন্ডি শার্ম্যানের চীনকে নিয়ে সমালোচনার জবাবে বলার জন্য অনুরোধ করা হয়। শার্ম্যান এর আগে চীনকে অভিযুক্ত করে বলেন যে চীন “আইন অনুমোদিত আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুনর্নির্মাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে”।

ওয়াং জবাবে বলেন, “তথ্য বলছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন ও শৃঙ্খলার প্রধান বিঘ্নকারী একটি রাষ্ট্র। তাদের আন্তর্জাতিক বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রধান অভিমুখই হল একাধিপত্য”। তিনি আরও বলেন যে চীন নয় বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই আন্তর্জাতিক আইন বিভিন্ন সময়ে পদদলিত ও ধ্বংস করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ওয়াং এর পরে ইরাক, সিরিয়া ও আফগানিস্তানের উদাহরণ দিয়ে বলেন যে এই দেশগুলিতে মার্কিন বাহিনী অত্যাচার চালিয়েছে। তার মতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধু নিষেধাজ্ঞা, বলপ্রয়োগ, লুঠতরাজ ইত্যাদি দ্বারা আন্তর্জাতিক আইনের অবমাননাই করেনি বরং মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি গোটা বিশ্বে বিভাজন এবং সংঘর্ষ সৃষ্টি করে চলেছে।

তিনি এরপরে যোগ করেন “ইউক্রেনে মার্কিন হস্তক্ষেপ এটাই প্রমাণ করে যে ওয়াশিংটন বিশ্বে শান্তি নয় বরং অশান্তির প্রধান উৎস”, এই প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন কীভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যাপকভাবে অস্ত্র সরবরাহ করছে। এখানেই না থেমে তিনি বলেন “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকে জানাতে চায় যে তারা বিশ্বে শান্তি চায়, অথচ তারা একই সাথে নিজেদের অস্ত্র ব্যবসাও চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্ববাসী হয়ত এটাই ভেবে অবাক হচ্ছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আদৌ বিবেকবানের মতো কাজ করছে কি না।”

শার্ম্যান এই মাসের শুরুতে ওয়াশিংটনে একটি আলোচনাসভায় চীনকে অভিযুক্ত করে বলেন যে তাদের সময়ে চীন ভূরাজনৈতিক ক্ষেত্রে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁঁড়িয়েছে যা মার্কিন কূটনীতিকে পরীক্ষা করতে পারে। তিনি চীনের “আক্রমণাত্মক বিদেশনীতি” কে দোষ দিয়ে বলেন যে চীন আন্তর্জাতিক সীমান্তকে পুনর্সজ্জিত করতে চাইছে।

তিনি মার্কিন আকাশসীমায় চীনা বেলুনের প্রবেশকে উল্লেখ করে বলেছিলেন যে চীনের এই কাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত ও বিশ্বশান্তির পরিপন্থী।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বেশ কয়েকবছর ধরেই কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। তাইওয়ান নিয়েও দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা ক্রমশ বাড়ছে, এই অবস্থায় চীনের আবহাওয়া গবেষণা বিষয়ক বেলুন নিয়ে, এর মধ্যে ওয়াং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কে বিশ্বের জন্যে “প্রধান বিঘ্নকারী” বলায় যে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিতন্ডা আরও চরমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a comment
scroll to top