Close

মাওবাদী-কংগ্রেস জোট, সমর্থন প্রত্যাহার “ঐক্যবদ্ধ মার্কসবাদী- লেনিনবাদী”দের

কংগ্রেস প্রার্থীকে সমর্থন মাওবাদীদের। তাই মাওবাদীদের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলো ঐক্যবদ্ধ মার্কসবাদী-লেনিনবাদীরা।

মাওবাদী-কংগ্রেস জোট, সমর্থন প্রত্যাহার "ঐক্যবদ্ধ মার্কসবাদী- লেনিনবাদী"দের

মিউজ্যিক্যাল চেয়ার যেন থামছে না। ২৭ ফেব্রুয়ারি সোমবার নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী কেন্দ্র) দলের নেতা, প্রধানমন্ত্রী পুস্প কমল দহাল ওরফে প্রচন্ড সরকারের থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করলো প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি নেতৃত্বাধীন নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (ঐক্যবদ্ধ মার্কসবাদী-লেনিনবাদী)।

গত নভেম্বরে নির্বাচনে শের বাহাদুর দেউবা নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসে সহ কিছু ছোটো দলেও সাথে জোট করে নির্বাচন লড়েছিলো দহাল নেতৃত্বাধীন মাওবাদীরা। ২৭৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে কোনো দলেরই সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৮টি আসন নেই। নেপালি কংগ্রেস প্রতিনিধি পরিষদে ৮৯টি আসন নিয়ে বৃহত্তম দল যেখানে সিপিএন-ইউএমএল এবং সিপিএন-এমসি যথাক্রমে ৭৮ এবং ৩২টি আসন রয়েছে।

ঠিক হয় সরকারের কার্য কালে প্রধানমন্ত্রীত্ব ভাগাভাগি করে নেবেন দহাল এবং দেউবা। কিন্তু কে আগে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সেই বিবাদ চরমে পর্যায়ে পৌঁছালে দহালকে সমর্থনের ঘোষণা করে কে পি ওলি। ১০ জানুয়ারি ফ্লোর টেস্টে দেখা যায় নেপালি কংগ্রেসও দহালের প্রধানমন্ত্রীত্বের পক্ষে ভোট দেয়। বিরোধী শূন্য হয়ে যায় নেপালের সংসদ। এবার রাষ্ট্রপতি পদকে কেন্দ্র করে আবার দহাল সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করলেন কেপি ওলি।

মাওবাদী দলের উপ মহাসচিব মাতৃকা যাদব ইস্ট পোস্ট বাংলাকে জানান “আমরা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যমত চেয়েছিলাম। সংসদে এগারোটি দলের মধ্যে ৮টি দল রাষ্ট্রপতি হিসেবে শের বাহাদুর দেউবাকে মনোনিত করে। ১টি করে আসন বিশিষ্ট দুটি দল তাদের মতামত দেয়নি। সংখ্যালঘু হয়ে যাওয়ায় কে পি ওলি সরকার ত্যাগ করে বেড়িয়ে গেছেন। সমস্ত গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে নিয়েই আমাদের পার্টি চলতে চায়।” 

নেপালি সংবাদ সংস্থা সেতোপাটিকে এক ইউএমএল আধিকারিক জানান “দাহাল আমাদের অপসারণ না করা পর্যন্ত আমরা সরকারে রয়েছি এমন বার্তা যাতে না যায় তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সরকার থেকে পদত্যাগ করেছি। এটা স্পষ্ট ছিল।”

Leave a comment
scroll to top