লোকসভা ভোটের আগে শেষ ২১শে জুলাই। কলকাতার মঞ্চে উল্লাস শাসকদলের। নতুন জোট INDIA-র জয়জয়াকার। কিন্তু ঠিক আগের রাত থেকেই নাকের ডগায় বিভীষিকা। পুড়ে ছাই হাওড়ার মঙ্গলা হাট। এই দিন হাওড়ার মঙ্গলাহাটে বিধ্বংসী আগুনে, পুড়ে ছাই বহু দোকান। সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, হাটের ছোট ছোট দোকানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জামাকাপড় মজুত ছিল। দোকানগুলিতে বাঁশ ও কাঠের কাঠামো থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর, প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। চোখে জল হাটের ব্যাবসায়ী ও দোকান মালিকদের। এই ক্ষতি পূরণ হবে কিভাবে? কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে তারা?
হাওড়া থানা সংলগ্ন শতাব্দী প্রাচীন মঙ্গলাহাটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে গভীর রাতেই পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে হাটের বহু কাপড়ের দোকান। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও অগ্নিকাণ্ডে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত। দমকল সূ্ত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায় মঙ্গলাহাটে। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন হাটের দোকানগুলি দাউ দাউ করে জ্বলছে। অগ্নিকাণ্ডে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
হাটের ঢিল ছোড়া দূরত্বে হাওড়া থানা। তাই প্রথমে থানাতেই খবর দেওয়া হয়। থানা থেকে খবর যায় দমকলে। একে একে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। আগুন নেভানোর কাজ শুরু হয়। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত একটা নাগাদ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। হাটের ছোট ছোট দোকানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে জামাকাপড় মজুত ছিল। দোকানগুলি বাঁশ এবং কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি হওয়ায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় পাঁচ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে অগ্নিকাণ্ডের ধ্বংসের মুখে পড়ে।
সূত্রের খবর, প্রায় সাত ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। কী কারণে আগুন লেগেছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। যদিও ব্যাবসায়ীদের তরফ থেকে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠে আসছে। কিন্তু শাসক দলের একাংশের বক্তব্য, বহু দিন ধরেই ওই এলাকা খালি করার জন্য আবেদন করেছিলেন তারা। তাদের কথায়, সম্ভবত শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে। কিন্তু এই আগুনের আঁচ পড়লো না ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাওড়া সিটি পুলিশ এবং দমকল। দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলের সামনেই গঙ্গা এবং দমকলের সদর দফতর থাকায় জলের কোনও অভাব হয়নি।