জম্মু ও কাশ্মীর রিজার্ভেশন (সংশোধন) বিল এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধন) বিলের বিতর্ক চলাকালীন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলের নাম না করেই কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছিলেন, বলেছিলেন যে ভোট ব্যাংকের রাজনীতির জন্য বিবেচনা ছাড়াই সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করা হলে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের দেশত্যাগ রোধ করা যেত। এই দিন অমিত শাহ বুধবার বলেছেন যে জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে যুক্ত দুটি বিল যা সংসদে কেন্দ্রীয় সরকার পেশ করেছিল, তাদের লক্ষ্য ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিতদের ন্যায়বিচার প্রদান করা।
জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় পণ্ডিত সম্প্রদায়ের জন্য আগেই আসন সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার সংসদের চলতি অধিবেশনে এই সংক্রান্ত দুটি বিল পেশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। যার একটি বিলে একজন মহিলা-সহ দুজন কাশ্মীরি পণ্ডিত সম্প্রদায়ের সদস্যের জন্য সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ‘পাক-অধিকৃত’ কাশ্মীর থেকে বাস্তুচ্যুতদের জন্যও উপত্যকার বিধানসভায় একটি আসন সংরক্ষিত হল। বিরোধীদের হট্টগোলের মধ্যে দুটি বিলই পাশ হয়ে গেল লোকসভায়। বরাবরের মতো প্রতিবাদে ওয়াক আউট করলেন বিরোধী সাংসদরা।
জম্মু-কাশ্মীরে আপাতত বিধানসভা নেই। ২০১৯ এর ৫ অগস্ট থেকে সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। তাছাড়া রাজ্যের মর্যাদা খুইয়ে জম্মু-কাশ্মীর এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। বিধানসভা ভোটের পর রাজ্যের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এমনটাই ঘোষণা করছে কেন্দ্র। তার আগে সংসদে ওই রাজ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করল কেন্দ্র। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আগাম নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছিল একাধিক দল। প্রসঙ্গত, ৩৭০ ধারা বিলোপের পর লাদাখ ও জম্মু কাশ্মীর- দু’টি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরি হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকেই কাশ্মীরে নির্বাচনী কেন্দ্রের পুনর্বিন্যাস শুরু করে মোদি সরকার। তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে আসন পুনর্বিন্যাসের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০২২ সালের মে মাসে কাজ শেষ করে রিপোর্ট জমা দেয় এই কমিটি। জম্মু কাশ্মীরের বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যা ৮৩ থেকে বেড়ে দাঁড়ায় ৯০।
জম্মু ও কাশ্মীর সংরক্ষণ (সংশোধন) বিল, ২০২৩, ২৬শে জুলাই, ২০২৩শে লোকসভায় পেশ করা হয়েছে, যা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংরক্ষণ আইন সংশোধন করতে চায়। এই বিলে তফসিলি জাতি, উপজাতি এবং অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর সদস্যদের চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। এটি সামাজিক এবং শিক্ষাগতভাবে পিছিয়ে থাকা পশ্চাদপদ গ্রামে বসবাসকারী এবং নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তের মতো অঞ্চলে বসবাসকারীদের সংরক্ষণ করে।