Close

মহিলা বিশ্বকাপে একই দিনে বিদায় নিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা

মহিলা বিশ্বকাপে একই দিনে বিদায় নিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সুইডেনের কাছে হেরে গেল আর্জেন্টিনা। এই প্রথম গ্রুপ পর্ব পেরোলো না ব্রাজিল।

মহিলা বিশ্বকাপে একই দিনে বিদায় নিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সুইডেনের কাছে হেরে গেল আর্জেন্টিনা। এই প্রথম গ্রুপ পর্ব পেরোলো না ব্রাজিল।

মহিলা বিশ্বকাপে একই দিনে বিদায় নিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। সুইডেনের কাছে হেরে গেলেন লিয়োনেল মেসির দেশের মেয়েরা। একই দিনে বিদায় নিল ইতালি এবং ব্রাজিল। ছ’বার বিশ্বকাপ খেলতে নামা মার্তাকে এ বারও ফিরতে হচ্ছে খালি হাতেই। ব্রাজিলের এই মহিলা ফুটবলারেরা বিশ্বকাপের সর্বাধিক গোলদাতা হয়েও এক বারও ট্রফি জেতেননি। এগিয়ে গেল ফ্রান্স।

১৯৯৫-এর পর এই প্রথম মহিলা বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারল না ব্রাজিল। এ পর্যন্ত এক বারও ট্রফি জিততে পারেনি তারা। অন্য দিকে, আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে থেকেও জামাইকার শেষ ষোলোয় যোগ্যতা অর্জন যেন স্বপ্নের সামিল। বিশ্বকাপ খেলতে আসার আগে দেশের সমর্থকদের থেকে সাহায্যের আবেদন করেছিল তারা। এই আবেদনের ফলে সাহায্যার্থে প্রায় ১ লক্ষ ডলার উঠে আসে।

জয়ের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমেছিল ব্রাজিল। প্রথম ম্যাচে পানামাকে হারিয়ে দিলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্সের কাছে হেরে যায় ব্রাজিল। গ্রুপে জামাইকার থেকে এক পয়েন্টে পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে ছিল তারা। ফলে ব্রাজিলকে প্রথম দুইয়ে থাকতে গেলে জিততেই হত এই ম্যাচ। কিন্তু গোটা ম্যাচে একাধিক সুযোগ পেলেও ব্রাজিল তা কাজে লাগাতেই পারেনি। প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ব্রাজিলের পায়ে। দ্বিতীয়ার্ধে ছয় বার গোল লক্ষ করে শট মেরেছে তারা। কিন্তু জামাইকার গোলকিপার রেবেকা স্পেন্সার সবকটি গোল আটকাতে সক্ষম হয়েছেন।

এ দিন প্রথমেই খেলতে নেমেছিল আর্জেন্টিনা। ব্রাজিলের মতো তাদেরও এই তৃতীয় ম্যাচে জিততেই হত। প্রথমার্ধে সুইডেনের শক্তিশালী আক্রমণকে রুখে দেয় আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা। তবে সুইডেন আগেই এগিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে যাওয়ায় এই ম্যাচে প্রথম সারির ফুটবলারদের অনেককেই বিশ্রামে রেখেছিল দল। তাদের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। উল্টে প্রথমার্ধের শেষের দিকেই দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ফুটবলার ফ্লোরেন্সিয়া বোনসেগুন্দো চোট পেয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান।

দু’দলই মূলত ডিফেন্সে মন দিয়েছিল। সুইডেন গোল না খাওয়ার লক্ষ্যে খেলতে নেমেছিল। ৬৬ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় সুইডেন। সুইডেনের পক্ষে গোল করেন রেবেকা ব্লমভিস্ট। ম্যাচের একদম শেষের দিকে আর্জেন্টিনার গ্যাব্রিয়েলা শাভেজ বক্সের মধ্যে ফাউল করেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন সুইডেনের এলিন রুবেনসনের, যা বিশ্বকাপ থেকে আর্জেন্টিনার বিদায় নিশ্চিত করে দেয়। এরপর শেষ ষোলোয় চার বারের চ্যাম্পিয়ন আমেরিকার বিরুদ্ধে খেলবে সুইডেন।

এদিকে পানামাকে হারিয়ে এগিয়ে গেল ফ্রান্স। এই খেলায় ব্রাজিলের গ্রুপেই ছিল পানামা। কাদিদিয়াতু দিয়ানির হ্যাটট্রিকে ৬-৩ গোলে জিতেছে তারা। দ্বিতীয় মিনিটে পিছিয়ে আসার পরে ক্যাপ্টেন ওয়েন্ডি রেনার্ড এবং সবসময়ের সেরা গোল স্কোরার ইউজিন লে সোমারের অনুপস্থিতিতেও, মায়েলে লাক্রার, লিয়া লে গেরেচ এবং ভিকি বেচোর করা গোলের মাধ্যমে ফ্রান্স আধিপত্য বিস্তার করেছে। যদিও ফ্রান্সের বিপক্ষে ১ মিনিট ৭ সেকেন্ডের মাথায় এই টুর্নামেন্টের দ্রুততম অত্যাশ্চর্য ৩৫-গজের ফ্রিকিক দিয়ে মার্টা কক্স পানামার প্রথম মহিলা বিশ্বকাপে গোল করে ইতিহাস তৈরি করেছেন। তবুও শেষ রক্ষা হল না।

লেখক

Leave a comment
scroll to top