বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে আসন্ন ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ ১০৪ ম্যাচের বিন্যাসের হবে। ১৯৯৮ সাল থেকে এযাবৎ ৬৪ ম্যাচের বিন্যাস ফুটবল বিশ্বকাপে অনুসরণ করা হত।
মঙ্গলবার, ১৪ ই মার্চ, ফিফা পরিষদ ২০২৬ বিশ্বকাপের গঠনগত পরিবর্তন সহ পুরুষ এবং মহিলা উভয় ফুটবলের ২০২৫-২০৩০ ফুটবল নির্ঘন্ট ব্যাখ্যা করেছে। এই ঘোষণাটি ফিফা করেছে রোয়ান্ডার কিগালিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা ফিফার একটি সভার আগে।
২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডা। এর আগে, ফিফা ১৬ টি গ্রুপ নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করার কথা বিবেচনা করেছিল যেখানে বিদ্যমান ৩২ দলীয় বিন্যাসকে বাড়িয়ে ৪৮ দলীয় বিন্যাসে প্রসারিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। এই ৪৮ টি দলকে তিনটি করে মোট ১৬ টি গ্রুপে রাখার কথা ভাবা হয়েছিল।
মঙ্গলবারের আলোচনার সাথে, ফিফা বিদ্যমান চার দলের গ্রুপ বিন্যাসেই ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে অর্থাৎ ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৪৮ টি দলকে ১২ টি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে।
প্রতিটি গ্রুপ থেকে দুটি শীর্ষ দল নকআউট পর্বে যাবে। তাদের সাথে যাবে আরও আটটি সেরা তৃতীয় স্থানাধিকারী দল। বিশ্বকাপের এই নতুন বিন্যাসের জন্য বিশ্বজুড়ে ফুটবল অনুসারীরা বিশ্বকাপে রাউন্ড অব ৩২ নামের একটি নতুন নকআউট পর্ব দেখতে চলেছে।
২০১৭ সালে, ফিফা ২০২৬ বিশ্বকাপকে একটি ৪৮ দলের প্রতিযোগীতায় প্রসারিত করার প্রস্তাব দিয়েছিল এবং প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে ফিফা পরিষদ দ্বারা অনুমোদিত হয়েছিল। এছাড়াও, ফিফা পরিষদ এই বিশ্বকাপে পরিচিত ৬৪ ম্যাচের পরিবর্তে ৮০ টি ম্যাচ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই ৪৮ টি দলকে ১৬ টি গ্রুপে বিভক্ত করা হবে বলেও ঘোষণা করা হয়েছিল।
যাইহোক, মঙ্গলবারের ঘোষণায় প্রকাশ পেয়েছে যে ফিফা তাদের আগের পরিকল্পনাকে বাতিল করে ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য বিদ্যমান চার দলের গ্রুপ বিন্যাসটিই রেখে দিতে চলেছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৯৩৪-১৯৭৮ সময়কালে, ফিফা ১৬ টি দল নিয়ে বিশ্বকাপ আয়োজন করত। ১৯৮২ সালে, ফিফা প্রতিযোগীতাটি ২৪ টি দলে বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে ১৯৯৮ সালে, ফিফা এই প্রতিযোগীতা ৩২ টি দলে প্রসারিত করে।
ফিফার বিশ্বকাপ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্তের মূল কারণ হল এশিয়া, আফ্রিকা এবং ক্যারিবিয়ানের আরও দেশেগুলির জন্য বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানো।