ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ রোববার জানিয়েছে, ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টার অভিযোগে ইরান-আফগান সীমান্তে ইসরায়েলের মোসাদ স্পাই সার্ভিসের তিন সন্দেহভাজন গুপ্তচরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আউটলেট অনুসারে, ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় এবং তালেবানের গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানের ফলে দুই দেশের মধ্যকার পার্বত্য অঞ্চলে “মোসাদ গুপ্তচর” হিসাবে চিহ্নিত তিনজন ইরানি নাগরিককে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা পূর্ব ইরানের টার্গেটে আফগান সীমান্ত থেকে আত্মঘাতী ড্রোন চালানোর পরিকল্পনা করছিল বলে জানা গেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইরানে স্থানান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া আর কোনো বিস্তারিত জানানো হয়নি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গাজার পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ইসরায়েল “সীমারেখা অতিক্রম করেছে” বলার এক সপ্তাহ পর এই তথ্য আসে, যেখানে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হাসপাতাল এবং শরণার্থী শিবিরকে লক্ষ্য করে বেসামরিক নাগরিকদের উপর নিরলস বিমান ও রকেট হামলার পর “স্থল অভিযান সম্প্রসারণ” করছে। পশ্চিম জেরুজালেমের কর্মকর্তাদের মতে, গত ৭ই অক্টোবর যখন ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। এই হামলায় যখন ১৪০০ জনেরও বেশি লোককে হত্যা করে এবং ২০০ জনেরও বেশি মানুষ বন্দী হয় তখন গাজা সংঘাত বৃদ্ধি পায় বলে তারা জানিয়েছে। জবাবে, আইডিএফ ঘনবসতিপূর্ণ ফিলিস্তিনি ছিটমহলে বিমান হামলা চালায়।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতে, যুদ্ধাবস্থা বৃদ্ধির শুরু থেকে মৃতের সংখ্যা ৯৪৮৮, যার মধ্যে ৩৯০০ শিশু এবং ২৫০৯ জন মহিলা রয়েছে। ২৪০০০ এরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে সারা বিশ্বের শহরগুলোতে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে চলতি সপ্তাহে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সোমবার বলেছেন যে “যুদ্ধবিরতির আহ্বান ইসরায়েলকে হামাসের কাছে আত্মসমর্পণের আহ্বান,” এবং এটি “ঘটবে না।” কয়েক সপ্তাহ আগে, তিনি ঘোষণা করেছিলেন যে “হামাস ইরান, হিজবুল্লাহ এবং তাদের অনুসারীরা অশুভ অক্ষের অংশ।”