এই সপ্তাহে প্রকাশিত এইডডেটা-এর একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, চীনা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি ২০০০ সাল থেকে ২০০২১ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলিকে মোট ১.৩ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে। গবেষণাটি অনুমান করেছে যে উন্নয়নশীল বিশ্বে চীনের বৈদেশিক ঋণের পোর্টফোলিওর ৮০ শতাংশই বর্তমানে আর্থিক সঙ্কটে থাকা দেশগুলিকে সহায়তা করছে। ২০২১ সালের হিসাবে উন্নয়নশীল দেশগুলির কাছে চীনা ঋণদাতাদের ১.১ ট্রিলিয়ন ডলার থেকে ১.৫ ট্রিলিয়ন ডলার পাওনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
এইডডেটা-র গবেষকরা ১৬৫টি নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে প্রায় ২১,০০০টি প্রকল্প বিশ্লেষণ করেছেন, যেগুলিকে ২০০০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চীনা অনুদান এবং ঋণ দিয়ে অর্থায়ন করা হয়েছিল। উক্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অর্থায়নের বিশ্বের একক বৃহত্তম সরকারী উৎস। “বেইজিং একটি অপরিচিত এবং অস্বস্তিকর ভূমিকা নেভিগেট করছে – বিশ্বের বৃহত্তম সরকারী ঋণ সংগ্রাহক হিসাবে,” এইডডেটা-র গবেষকরা লিখেছেন। তারা আরও লিখেছেন চীন “ক্রমবর্ধমানভাবে একটি আন্তর্জাতিক সংকট ব্যবস্থাপকের মতো আচরণ করছে।”
এই তথ্য দেখায় যে উন্নয়নশীল বিশ্বে উল্লেখযোগ্য পরিবেশগত, সামাজিক, বা গভর্নেন্স ঝুঁকি এক্সপোজার (ESG) সহ চীনা অনুদান- এবং ঋণ-অর্থায়নকৃত অবকাঠামো প্রকল্পগুলির ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ২০০০ সালে ৪২০ মিলিয়ন ডলার মূল্যের ১৭টি প্রকল্প থেকে ১৬৯৩টি প্রকল্পে ৪৭০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।প্রতিবেদনে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা হয়েছে যে চীন উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে বিশ্বের বৃহত্তম সরকারী ঋণদাতা হয়ে উঠত না যদি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের বিশাল মজুদ না থাকত।
এইডডেটা অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত চীনের সরকারি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৩.১ ট্রিলিয়ন ডলার। এই গবেষণায় দেখা গেছে যে চীনা বিদেশী ঋণের গন্তব্য পরিবর্তন হয়েছে। আফ্রিকান দেশগুলিতে এই ঋণের প্রতিশ্রুতি ২০১৮ সালে মোটের উপর ৩১ শতাংশ থেকে ২০২১ সালে ১২ শতাংশে নেমে এসেছে, যেখানে ইউরোপীয় দেশগুলিতে ঋণ দেওয়ার পরিমাণ প্রায় চারগুণ বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে৷