মৃত্যুদণ্ড তুলে দিতে ডেমোক্র্যাটিক গভর্নর জে ইনস্লী বৃহস্পতিবার, ২০শে এপ্রিল, একটি বিলে স্বাক্ষর করেন। ২৩তম মার্কিন রাজ্য হিসেবে ওয়াশিংটন এই সিদ্ধান্ত নিল। সেনেট বিল ৫০৮৭ তে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি বন্ধ্যাকরণের মত আইনগুলিকেও বাতিল করেছে। ডেমোক্রাটিক নিয়ন্ত্রিত আইনসভা এই মাসের শুরুতে এই বিল পাস করে।
“আমি ২০১১৪ সালে ওয়াশিংটন রাজ্যে মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে একটি স্থগিতাদেশ জারি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। ২০১৮তে সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদন্ড বাতিল করে,” ইনস্লী বৃহস্পতিবার বিলে স্বাক্ষর করার সময় বলেন। “তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে, এবং আমরা স্পষ্ট জানি যে এই শাস্তি অসমভাবে এবং জাতিগতভাবে সংবেদনশীল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা হয়েছে।”
ওয়াশিংটন চ্যাপ্টার অফ আমেরিকান সিভিল রাইটস লিবার্টিস ইউনিয়ন (ACLU) সহ আইনজীবিরা এই পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন।
“জাতিগত পক্ষপাতিত্ব ওয়াশিংটন এবং সমগ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুদণ্ডের সিদ্ধান্তে বিশেষ ভূমিকা রাখে,” আইন প্রণয়ন পরিচালক এম. লরেনা গনজালেজ শুক্রবার সিএনএন-কে এক বিবৃতিতে বলেছেন, “আমরা খুশি যে ওয়াশিংটনের আইনসভা অবশেষে এই স্বেচ্ছাচারী এবং বৈষম্যমূলক শাস্তির অবসান ঘটাতে পেরেছে।”
রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি জিম ওয়ালশ সহ রিপাবলিকানরা এই বিলের সমালোচনার মুখর হয়েছেন। এই মাসের শুরুর দিকে একটি ফেসবুক পোস্টে ওয়ালশ জানান “প্রতারকের স্বার্থ প্রতারিতের স্বার্থের ওপরে রাখা হচ্ছে।”
২০১৮ সালে, ওয়াশিংটন রাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে যে মৃত্যুদণ্ড অসাংবিধানিক কারণ এর ব্যবহার করা হচ্ছিল অসঙ্গতভাবে। অপরাধের ঘটোনাস্থল, অভিযুক্তের বংশপরিচয় ইত্যাদি নির্ধারণ করছিল কার চরম শাস্তি হবে কার হবে না। এটা রাষ্ট্রের সংবিধানের পরিপন্থি।
মৃত্যুদণ্ড তথ্য কেন্দ্রের নথি অনুসারে, ১০৭৬ সালে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড পুনর্বহাল করার পর ওয়াশিংটন রাজ্যে পাঁচটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তদের সকলেই শ্বেতাঙ্গ।
কিন্তু গবেষণা বলছে, বিচারকের সীদ্ধান্তে জাতি একটি গুত্বপূর্ণ নির্ণায়কের কাজ করে। ২০১৪ তে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্টে দেখা গেছে যে, “দণ্ডিতেরগায়ের রং কালো হলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তির সম্ভাবনা চারগুণ বেড়ে যায়।”
মৃত্যুদণ্ড তথ্য কেন্দ্রের তথ্য অনুসারে, ১লা এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২,৪১৪ জন মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন।এখনও ২৭টি রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড আইনি।