Close

JNU প্রাক্তনী, সুদানে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে

JNU প্রাক্তনী, আব্দেলওয়াহাব, জানিয়েছেন, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের মত বৃহৎ শক্তিগুলোর উচিৎ সুদানে শান্তির সমর্থনে উদ্যোগী হওয়া।

banner flag Sudan

Source: Pixabay

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) প্রাক্তনী, যিনি তাঁর সময়ে ছাত্র ইউনিয়নের নেতা ছিলেন, সুদানে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে যুদ্ধরত দুই পক্ষকে একই মঞ্চে আনতে মাঠে নেমেছেন। খালিদ আব্দাল্লাহ আব্দেলওয়াহাব। তিনি জানিয়েছেন, র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (RSF) নেতা মোহামেদ হামদান দাগালো “হেমেদতি” হোন বা সুদানিজ আর্মড ফোর্সেস (SAF) নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান হোন, কেউই, যেমন মনে হয়েছে তেমন প্রভাবশালী নন, আন্তর্জাতীক সমাজের উচিৎ আলাপ-আলোচনায় বসার জন্য চাপ বাড়ানো।

“জেনারেল বুরহান কিংবা হেমেদতি দুজনেই অজস্র ভুল করেছেন, আম-সুদানির স্বার্থে আঘাত করেছেন, তাঁদের জনসমর্থন নেই, তাঁরা দাবি করেন তাঁদের আছে। আন্তর্জাতীক সমাজ ঠিকই করছেন, তাঁরা দেশের মানুষকে দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছেন, কিন্তু তাতে এই সংঘাতের যবনিকাপাত ঘটছে না, এই সময়ের জরুরি দাবি হল এই, যে, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের মত বৃহৎ শক্তিগুলোর উচিত শান্তি উদ্যোগে সমর্থন দেওয়া,” আব্দেলওয়াহাব জানিয়েছেন। আব্দেলওয়াহাব বর্তমানে খার্তুমে, ব্রিটিশ দূতাবাসে, রাজনীতি বিষয়ক আধিকারীক পদে কর্মরত।

আব্দেলওয়াহাব, ২০০৬-২০০৭ নাগাদ, JNU-র স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় চরিত্র ছিলেন। তিনি এবং তাঁর সঙ্গে সমাজকর্মী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, এবং সাংবাদিকরা মিলে, সুদানি সমাজের কোনে কোনে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন, যাতে যুদ্ধ বন্ধ করার উদ্দেশ্যে আলাপ-আলোচনায় বসার জন্য চাপ বাড়ানো যায়।

আব্দেলওয়াহাব তাঁদের একজন যাঁরা বিশ্বাস করেন সশস্ত্র বাহিনীর দুই শাখার মধ্যে ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের তলায় রয়েছে সুদানি উপজাতীক সমাজের ত্রুটি। তিনি সাবধান করেছেন, চলতি দ্বন্দ্ব শীঘ্রই উপজাতীক রক্তস্নানের কলতলায় পর্যবসিত করবে সুদানকে, সে আরো ভয়ানক হবে। একই উপজাতীর মানুষ সুদান এবং প্রতিবেশি দেশে আছে, কোন উপজাতীর কোন একজন সদস্যের ওপর কোনরকম নৃশংসতা হলে, বৃহত্তর সংকটের জন্ম হতে পারে। তিনি বলেন, “পশ্চিম সুদানের মাসালিত উপজাতি চাদেও রয়েছে, এবার সুদানে এঁদের ওপর যদি হামলা হয়, তাহলে চাদের সামরিক বাহিনী যখনতখন যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে।”

আন্তঃ-উপজাতীক সংঘাত ছড়িয়ে পড়া নিয়ে যে সময়োপযোগী পূর্বাভাস রয়েছে তা আসলে সুদানি সমাজের ক্ষয়িষ্ণুতাকে মনে করিয়ে দেয়। এখনই খবর আছে, সুদানি-আরবি মিলিশিয়া অ-আরবি মাসালিতদের হামলা করছে। “দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ একে অন্যকে হত্যা করছেন এবং এই সশস্ত্র দুই পক্ষের লড়াই দারফুরে আন্তঃ-উপজাতীক সংঘাত পুনরুজ্জীবিত করতে পারে, সেখানে এই ধরণের সংঘাতের ইতিহাস আছে,” আব্দেলওয়াহাব জানিয়েছেন।

আব্দেলওয়াহাব JNU-র ইতিহাসে প্রথম নির্বাচন জয়ী আফ্রিকান, বামপন্থী সংগঠন অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (AISA)-র টিকিটে স্কুল অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (SIS)-এর অফিসে, ২০১৩ তে নির্বাচিত হন। সেবছর AISA ৬৮% ভোট পেয়েছিল, মোট ৫,৫০০ ভোটারের। ২৯ বছর বয়সী, আন্তর্জাতীক সম্পর্ক বিভাগে এমফিলের পড়াশুনো করছিলেন, বলেছিলেন তিনি বিশ্বাস করেন তাঁর এই জয় “গণতান্ত্রীক নির্বাচন পদ্ধতিকে অধ্যয়ন করবার এক অর্থবহ পদক্ষেপ।” বলেছিলেন, “গত ১৮ বছর সুদানের মানুষ গণতন্ত্র চাখেনি।” “সুদানে গণতন্ত্র ফেরাতে যোগ্য লোকের খুব দরকার। আমি সেই কারণেই ভারতে। আমি আমার দেশে গণতন্ত্র চাই। ভারতে আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি আমার মানুষদের গণতন্ত্রের শিক্ষা দিতে চাই।” JNU তে ভর্তি হওয়ার আগে পড়েছেন পুনে ইউনিভার্সিটিতে এবং কেরালায় মহাত্মা গান্ধী ইউনিভার্সিটিতে, আব্দেলওয়াহাব, জানিয়েছেন, “এই সময়ের জরুরি দাবি হল এই, যে, রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্টের মত বৃহৎ শক্তিগুলোর উচিত শান্তির সমর্থনে উদ্যোগী হওয়া।”

বিশ্বব্যাপী, বিপ্লবে, ছাত্রছাত্রী সমাজের উদ্যম ও নিষ্ঠার ঢেউ জেগেছে। আরেকবার।

Leave a comment
scroll to top