হন্ডুরাসের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট জিওমারা কাস্ত্রো আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানের থেকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে চীনকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। এখন তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে জাতিসংঘের মাত্র ১২টি সদস্য রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। তাদের সম্মিলিত জনসংখ্যা ৩কোটি ৯০ লাখের কম, বা গ্রহের জন সংখ্যার ০.৪৯% মাত্র।
২৬শে মার্চ রবিবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ও হন্ডুরাস প্রজাতন্ত্র নিজেদের মধ্যে কূটনৈতিক সর্ম্পক স্থাপনের বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। স্বাক্ষরের দিন থেকেই দু’দেশের মধ্যে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিআরআই।
বিবৃতিতে বলা হয়, দু’দেশের সরকার একে অপরের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, অ-আগ্রাসন নীতি মেনে চলবে, একে অপরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না, এবং সমতা ও পারস্পরিক কল্যাণকর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতির ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলবে।
এতে বলা হয়, হন্ডুরাস সরকার বিশ্বে একটি মাত্র চীনের অস্তিত্ব স্বীকার করে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকারই গোটা চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার, আর তাইওয়ান হলো চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। হন্ডুরাস সরকার তাইওয়ানের সাথে ‘কূটনৈতিক সম্পর্ক’ ছিন্ন করেছে এবং তাইওয়ানের সাথে আর কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না-রাখার ও কোনো ধরনের সরকারি যোগাযোগ না-করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, দু’দেশের সরকার ১৯৬১ সালের ‘ভিয়েনা কূটনৈতিক সম্পর্ক কনভেনশন’ ও আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, যথাশীঘ্র সম্ভব রাষ্ট্রদূত বিনিময় করবে।