শুক্রবার, ৩১শে মার্চ বেইজিংয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, বিশ্বের কেউ বা কোনো শক্তিই চীনের মূল ভূখণ্ডের সাথে তাইওয়ানের একীকরণকে আটকাতে পারবে না। তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারের রাষ্ট্রপতি সাই ইং ওয়েন-এর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন তিনি, জানিয়েছে চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সিআরআই।
চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করে মাও বলেন, চীন জোরের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তাইওয়ানের যেকোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক আদান-প্রদানের বিরোধিতা করে; তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের যেকোনো নামে বা যেকোনো কারণে যুক্তরাষ্ট্র সফরের দৃঢ় বিরোধিতা করে।
মুখপাত্র মাও আরও বলেন যে তাইওয়ানের সংশ্লিষ্ট নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র ‘ট্রানজিট’ করেছেন বলে যা প্রচার করা হচ্ছে, তা ডাহা মিথ্যা; তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তথাকথিত ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’-র পক্ষে সমর্থন চাইতে। তাইওয়ানের ক্ষমতাসীনরা যা-ই বলুক বা করুক না কেন, তাইওয়ান যে চীনের একটি অংশ—এই সত্য কখনও বদলে যাবে না।
উল্লেখ্য, গত ২৯ শে মার্চ থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী সরকারের রাষ্ট্রপতি সাই ইং ওয়েন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে তথাকথিত ‘ট্রানজিট’ করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিকারিক ও কংগ্রেসের সদস্যদের সাথে দেখা করেন এবং হাডসন ইনস্টিটিউট অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে যোগ দেন ও বক্তব্য রাখেন।
বৃহস্পতিবার চীন অভিযোগ করে যে চীনের সতর্কতা ও আপত্তি উপেক্ষা করে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন দলের প্রধান সাই ইং ওয়েনকে যুক্তরাষ্ট্র সফরের সুযোগ করে দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
মাও নিং জোর দিয়ে বলেন, তাইওয়ান চীনের মূল স্বার্থসংশ্লিষ্ট মৌলিক ইস্যু এবং চীন-মার্কিন সম্পর্কের রাজনৈতিক ভিত্তি ও প্রথম লক্ষণরেখা। চীন যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও ‘এক-চীননীতি’ এবং ‘তিনটি চীন-মার্কিন যৌথ ইস্তেহার’ মেনে চলার আহ্বান জানায়।
প্রসঙ্গত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সামরিক সাহায্য দিলেও রাষ্ট্র হিসেবে তাইওয়ানকে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি। পৃথিবীতে মাত্র ১৩টি দেশ তাইওয়ান কে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলো, কিন্ত গত রবিবার হন্ডুরাস তাইওয়ানের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রত্যাহার করে চীনের গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারকেই স্বীকৃতি দেয়।