বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) শঙ্কা প্রকাশ করেছে তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আট গুণ বাড়তে পারে। তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩,৫৪৯ বলে জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ান।
৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়া স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ৭. ৮ রিখটার মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে । মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়েছে ভূমিকম্পে। এখনো নিখোঁজ বহু মানুষ । ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে আহতের সংখ্যা।
হু এর আপৎকালীন কর্মকর্তা ক্যাথরিন স্মলউড এএফপিকে বলেন, “আমরা সব ক্ষেত্রে ভূমিকম্পের সময় একই ব্যাপার দেখতে পাই। দুর্ভাগ্যবশত সেটা হলো, প্রাথমিক রিপোর্টে যতজনের মৃত্যু হয়েছে বা যতজন আহত হয়েছে, এই সংখ্যাটা পরের সপ্তাহে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে”। স্মলউড আরো বলেন, “তুষারময় পরিস্থিতি বিপদ আরও বাড়িয়ে দেবে”।
এরমধ্যে প্রবল বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতের কারণে বাধা পাচ্ছে উদ্ধারকার্য। তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
অন্যদিকে শীতে দুর্ভোগ আরও বাড়ছে, কিছু অঞ্চলের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে নেমে যাওয়ার কারণে। মূলত বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে বহু আবাসন ধ্বসে পড়েছে। সেই কারণে ধ্বংসস্তুপে অনেকেই আটকা পড়েছে আছেন।
সিরিয়া ও তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে যেখানে ভারত, চীন, রাশিয়া সহ নানা দেশ এগিয়ে এসেছে সেখানে অভিযোগ উঠেছে যে মার্কিন-নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট শুধু তুরস্ক কে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে।