আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) থেকে ৬৫০ কোটি ডলার ঋণ পেতে আধিকারিক পর্যায়ের আলোচনায় কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান। পাকিস্তান সরকার আশা করেছিল, ঋণ পাওয়ার জন্য সমস্ত শর্ত পূরণে পাকিস্তানের সদিচ্ছার কথা তারা আইএমএফ আধিকারিকদের বোঝাতে পারবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার আইএমএফ প্রতিনিধি দলের দশ দিনের সফর শেষে সেই আশা ভেস্তে যায়। আধিকারিক পর্যায়ে পাকিস্তান-আইএমএফ চুক্তি ব্যর্থ হয়েছে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
খেলাপি এড়িয়ে যাতে ভবিষ্যতে একটি বেল আউট চুক্তিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়, সেটাকে মাথায় রেখেই উভয় পক্ষই কিছু সংস্কার কর্মসূচি রুপায়নে সহমত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ৯ই ফেব্রুয়ারি, পাকিস্তানের এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, আইএমএফের প্রতিনিধি দল গত ৩১শে জানুয়ারি দশ দিনের সফরে পাকিস্তানে এসেছিল এই ঋণচুক্তি নিয়ে নবম দফার আলোচনার জন্য। শুক্রবার পাকিস্তান-আইএমএফ চুক্তি ব্যর্থ হতে দেখে দলটি পাকিস্তান ছেড়ে চলে গেছে।
বৃহস্পতিবার, পাকিস্তানের অর্থ সচিব হামেদ ইয়াকুব শেখ সাংবাদিকদের বলেন, ঋণের পূর্বশর্ত পূরণে কী কী করণীয় সে বিষয়ে ঐক্য মতে পৌছানো গেছে। তবে আধিকারিক পর্যায়ে চুক্তির পরে এই বিষয়ে জানানো হবে।
শুক্রবার সকালে আইএমএফের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ঋণের পূর্বশর্ত পূরণের অগ্রগতি নিয়ে আগামী দিনগুলোতে পাকিস্তানের আধিকারিকদের সঙ্গে আরও আলোচনা হবে। কিন্তু এইবারের আধিকারিক পর্যায়ের বৈঠকের বিষয়বস্তু আইএমএফের পর্ষদ সভায় উত্থাপিত হবে না।
প্রসঙ্গত পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার তহবিল কমছেই। ৩রা ফেব্রুয়ারি, স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের দেওয়া হিসাব অনুসারে, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার মজুত ১৭ কোটি ডলার কমে গিয়ে ২৯০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
পাকিস্তানের পক্ষে অন্য উৎসগুলো থেকেও ঋণ পাওয়া সহজ হতো যদি আইএমএফের অর্থ ছাড় পেতো। স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তান বলেছে, ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল তলানিতে এসে ঠেকেছে। এই অবস্থায় পাকিস্তান-আইএমএফ চুক্তি ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির আর্থিক পরিস্থিতি যে শোচনীয় হতে পারে সেই আশংকা করছে পাকিস্তানের আধিকারিকরা।