Close

‘পদ ছাড়া উচিৎ হয়নি হিমন্তের’ সাংবাদিক বৈঠকে বললেন কেজরিওয়াল

জেল থেকে বেরিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন কেজরিওয়াল-এর। সংবাদমাধ্যমকে বললেন হিমন্তের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়া উচিৎ হয়নি।

জেল থেকে বেরিয়েই সাংবাদিক সম্মেলন কেজরিওয়াল-এর। সংবাদমাধ্যমকে বললেন হিমন্তের মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়া উচিৎ হয়নি।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল-এর গ্রেফতারির কয়েকমাস আগেই গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত সোরেন। তিনিও গ্রেফতার হন ইডির হাতে। এবার জেল থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েই হিমন্তকে নিয়ে মন্তব্য করলেন কেজরিওয়াল। তিনি বললেন, ‘পদ ছাড়া উচিৎ হয়নি হিমন্তের’।

তিনি নিজে কেন মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেননি তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই এই কথা বলেন কেজরিওয়াল। লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে কেজরিওয়ালের ২১ দিনের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে সুপ্রিম কোর্ট। জামিন পাওয়ার পর শনিবার সকাল থেকেই একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে মোদী এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক বিষয় নিয়ে আক্রমণ শানিয়েছেন কেজরিওয়াল। এইদিন তিনি বলেন, “আপনি যদি গণতন্ত্রকে জেলে বন্দি করেন, তবে জেল থেকেই গণতন্ত্র চলবে। এমনকি, হিমন্ত সোরেনের পদত্যাগ করা উচিত হয়নি।”

কেজরিওয়াল বক্তব্য প্রসঙ্গে আরও বলেন, “পদত্যাগ না করে আমি জেল থেকে তানাশাহির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমি যখন জেলে ছিলাম, কিছু লোক প্রশ্ন তুলেছিলেন, কেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না? ৭৫ বছরের ইতিহাসে দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে আপ। এই ফলাফল দেখে ওরা (বিজেপি) বুঝতে পেরেছিল আপকে হারানো যাবে না। তাই কেজরিওয়ালকে জেলে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ভেবেছিল, সরকার পড়ে যাবে। কিন্তু আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি।”

এইদিন মোদীর বিরুদ্ধে আরও তীব্র আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী বলছেন, তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, কিন্তু সব চোর তাঁর দলেই রয়েছে। কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে তাঁরা বার্তা দিতে চেয়েছিলেন, তাঁরা যাঁকে ইচ্ছে তাঁকে গ্রেফতার করতে পারে। বিজেপি সমস্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীকে জেলে ভরে রাজনীতি খতম করে দেবে।”

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জানুয়ারি ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) নেতা হিমন্তের রাঁচীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। প্রায় সাত ঘণ্টা তল্লাশির পরে হিমন্তকে গ্রেফতার করা হয়। তবে নিজের গ্রেফতারির আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। পরে ইডি হেফাজত শেষে ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দি হন হিমন্ত। ঝাড়খণ্ডের হাইকোর্ট এবং দেশের সুপ্রিম কোর্টে জামিনের জন্য মামলা চলছে তাঁর। যদিও কোনও আদালতই এখনও পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর জামিন মঞ্জুর করেনি।

Leave a comment
scroll to top