Close

“অভেদ্য সীমান্ত নির্মাণে কী করছে সরকার?” কেন্দ্রকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

বৃস্পতিবার অবৈধ অভিবাসনকে কেন্দ্র করে অভেদ্য সীমান্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার কোন কোন কর্মসূচি নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

বৃস্পতিবার অবৈধ অভিবাসনকে কেন্দ্র করে অভেদ্য সীমান্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার কোন কোন কর্মসূচি নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

বৃস্পতিবার আসামে অবৈধ অভিবাসনকে কেন্দ্র করে অভেদ্য সীমান্ত নির্মাণের ক্ষেত্রে সরকার কোন কোন কর্মসূচি নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। অবৈধ অভিবাসীদের সাথে যুক্ত নাগরিকত্ব আইনের ৬এ ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে একটি পিটিশনের শুনানির পর, সুপ্রিম কোর্টের ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ অবৈধ অভিবাসনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল। আদালত সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটর জেনারেল তুষার মছহেতার কাছে ১৯৭১ সালের পরে্য অবৈধ অভিবাসনের তথ্য চেয়েছিলে এই দিন।

তুষার মেহেতা পশ্চিমবঙ্গের কথা উল্লেখ করে এইদিন জানিয়েছেন, “হতে পারে বাংলাদেশের মানুষের চালচলন ও খাদ্যাভ্যাসের কারণে তারা এত সহজে মিশে যেতে পারে বলে এমন কোনও হৈচৈ হচ্ছে না যা সরকারের অকার্যকারিতাকে নায্যতা দেয় না।” ডিভিশন বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে ১৯৭১ সালের পর থেকে অভিবাসনের পরিমাণ এবং পশ্চিমবঙ্গে সরকার কী করছে তা জানতে চান। এছাড়াও প্রশ্ন রাখেন যে “নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গকে বাদ দেওয়ার কারণ কী? বাংলাদেশের সাথে সবচেয়ে বড় বর্ডার থাকা সত্ত্বেও এই সমস্যাকে কেন স্রেফ আসামের সমস্যা হিসেবে দেখা হচ্ছে?”

এই বিষয়ে মেহেতা একটি হলফনামা দাখিল করতে চায়। এর উত্তরে বেঞ্চ জানিয়েছে, “আমরা এই বিষয়ের অগ্রগতির উপর সরকারের বিবৃতি চাই এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই যে সরকার সীমান্ত রক্ষার জন্য কী করছে? সীমান্তের বেড়া নির্মাণের কাজ কতদূর?” বেঞ্চ আরও প্রশ্ন রাখে যে, “আমাদের কাছে কি কোনও তথ্য ছিল যে পশ্চিমবঙ্গে অভিবাসনের পরিমাণ কম ছিল তাই ছাড় দেওয়া হয়েছে।” বিচারপতি সূর্যকান্ত, এমএম সুন্দরেশ, জে বি পারদিওয়ালা, ও মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত এই বেঞ্চ জিজ্ঞাসা করেছে, “যদি আমরা ৬এ ধারা নিশ্চিত করি তবে ১৯৭১ সালের পর আমরা কী করেছি।” সর্বশেষে বেঞ্চ যুক্তি দিয়েছে যে, ‌ভারত স্বৈরাচারী রাষ্ট্র নয়, তাই আইনের শাসনের আওতায় একে থাকতে হবে। নাহলে হয়তো সত্যিকারের নাগরিকদের বের করে দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত, আর্টীকেল ৬এ-এর সাংবিধানিক বৈধতা প্রমাণের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৭টি পিটিশন দাখিল হয়েছে, যা আদালত এর মধ্যেই জব্দ করেছে।

Leave a comment
scroll to top