দীর্ঘ চারমাস পর ফের একবার ওয়েনাদের সাংসদ হিসেবে লোকসভায় পা রাখলেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ সালে করা মোদী পদবী নিয়ে একটি মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চরম সাজা ঘোষণা করা হয় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় সুরাট আদালত দোষী সাব্যস্ত করে কংগ্রেস নেতাকে। দুই বছরের জেলযাত্রার সাজা শোনানো হয়। এরপর রাতারাতি তাঁকে সাংসদ পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়।
আজ সুরাট আদালতের রায়ের উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের ফলে তাঁর সাংসদ পদ ফিরেছে। ফলে এটা অনুমান করা হচ্ছে সাংসদ হিসেবে পাওয়া পূর্বের সমস্ত সুযোগ সুবিধাও পুনরায় পাবেন রাহুল গান্ধী। গত ২৩শে মার্চ রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শুনিয়েছিল গুজরাটের নিম্ন আদালত। চারমাস পর সোমবার তাঁর সদস্যপদ ফেরাল লোকসভার সচিবালয়।
২০০৫ সাল থেকে সাংসদ হিসেবে দিল্লির ১২ নম্বর তুঘলক রোডের বাংলোতে বসবাস করতেন রাহুল। গত ২২ এপ্রিল সেই বাংলো ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। মালপত্র নিয়ে ওঠেন ১০ জনপদে তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে। সাংসদ পদ না ফিরলে দক্ষিণ দিল্লির অভিজাত নিজামুদ্দিন এলাকায় পূর্ব বি ২ লোকালয়ে একটি নতুন বাড়িতে ওঠার কথা ছিল রাহুলের। এই বাড়িতেই আগে থাকতেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিলা দীক্ষিত। আজ সুরাট হাইকোর্টের রায়ের উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পর ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অংশ নিতেও আর কোনও বাধা রইল না তাঁর। এবার রাহুল গান্ধীকে সামনে রেখেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজাবে নবগঠিত ইন্ডিয়া জোট। এযাবৎ অপেক্ষা ছিল কেবলমাত্র সাংসদ হিসেবে তাঁর প্রত্যাবর্তনের।