স্কুলছুটদের পক্ষে মাওবাদী। অন্ধ্রের বিশাখাপত্তনমে সিপিআই (মাওবাদী) বেসরকারী কলেজগুলির ম্যানেজমেন্ট এবং শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। কেন এই হুঁশিয়ারি? সূত্র মারফত জানা গেছে, শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের চাপে শিক্ষার ব্যয়ভার বহন করতে না পেরে একের পর এক স্কুল/কলেজছুট হচ্ছিল পড়ুয়ারা। সিপিআই(মাওবাদী)-র তরফ থেকে তাই শিক্ষাদপ্তর ও স্কুল/ কলেজ ম্যানেজমেন্টকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যে, যদি তারা অভিভাবকদের ও পড়ুয়াদের উপর এই পীড়ন চালিয়ে যাওয়া বন্ধ না করে, তবে গুরুতর পরিণতির জন্য যেন বেসরকারি শিক্ষা সংস্থাগুলি প্রস্তুত থাকে।
শনিবার কোথাগুডেম-আল্লুরি সিথারামা রাজু (বিকে-এএসআর) ডিভিশন কমিটির আজাদের তরফ থেকে স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে, মাওবাদীরা অভিযোগ করেছে যে বেসরকারী কলেজগুলি শিক্ষার অধিকার আইন(আরটিই) লঙ্ঘন করছে এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের ফি আদায় করছে। যার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও পরিবারের উপর অকথ্য অর্থনৈতিক চাপ সহ অন্যান্য মনস্তাত্ত্বিক ও সামাজিক প্রতারণার জালে জড়িয়ে পড়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। বেসরকারী কলেজ ব্যবস্থাপনা অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করার আকাঙ্ক্ষাকে মূলধন করে অন্যায়ভাবে ও লাগামছাড়া উচ্চহারে ফি আদায় করে বলে অভিযোগ।
প্রাথমিকভাবে মাওবাদী-রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা আরটিই আইনের কঠোর প্রয়োগ, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ এবং তাদের ন্যূনতম মজুরি প্রদান এবং বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পরিদর্শনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু ব্যাবস্থা না গ্রহণে কঠোর পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, গত বছরের তুলনায় চালু শিক্ষাবর্ষে বেসরকারি কলেজগুলো ১০% থেকে ৩০% ফি বাড়িয়েছে। নোটবুক, ইউনিফর্ম ও বাস ফি’র নামে অভিভাবকদেরও শোষণ করা হচ্ছে। স্কুলগুলিও শিক্ষার্থীদের স্কুল থেকে বই এবং ইউনিফর্ম কিনতে বাধ্য করছে, যার ফলে অভিভাবকদের উপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক বোঝা চাপছে। মাওবাদী পার্টি শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের সতর্ক করেছে, যদি তারা এই ধরনের স্কুল ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে মাওবাদীরা।