Close

কুস্তিগির আন্দোলন: অভিযোগ তুলে নিল নাবালিকা কুস্তিগির

আন্দোলন থেকে বেরিয়ে আসেননি কুস্তিগিরেরা। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে বৈঠক স্বস্তিমূলক হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

কুস্তিগির আন্দোলন-এ নয়া মোড়। মামলা তুলে নাবালিকা নির্যাতিতা। ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা ও স্টকিংয়ের অভিযোগ এনেছিল সেই নাবালিকা। সেই ভিত্তিতেই কুস্তি সংস্থার প্রধানের বিরুদ্ধে পকসো আইনের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪, ৩৫৪ এ, ৩৫৪ ডি এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল। কিন্তু ১৭ বছর বয়সি নাবালিকা বর্তমানে নিজের বয়ান বদলে নিয়েছে। সে ১৬৪ ধারার অধীনে এক নতুুন বয়ান দিয়েছে যেখানে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলি তুলে নেওয়া হয়েছ। এবার কোর্টের তরফে নির্ধারিত করা হবে ১৬৪ ধারায় রুজু কোন মামলাকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হবে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই দানা বেঁধেছিল আন্দোলন।

এদিকে ফলপ্রসূ হয়নি শাহের সাথে মোলাকাত, বললেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিকের স্বামী সত্যব্রত কাদিয়। আন্দোলন-রত কুস্তিগিরেরা কয়েকদিন আগেই সাক্ষাৎ করেছেন অমিত শাহের সাথে। তাঁদের বক্তব্য কাঙ্খিত প্রতিক্রিয়া পাননি তারা। সত্যব্রত কাদিয়া বলেছেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠক মিমাংসাসূচক ছিল না।গত শনিবার রাতে বৈঠকের সময় কুস্তিগিরদের অমিত শাহ বলেছেন আইন সবার জন্য সমান। যদিও ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি বলে কাদিয়ার বক্তব্য।কাদিয়া আরও বলেছেন, “আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছ থেকে কাঙ্খিত প্রতিক্রিয়া পাইনি। এখন আমরা আন্দোলন-এর পরবর্তী কর্মসূচি কি হবে সেই নিয়ে ভাবছি। আমরা আন্দোলন থেকে সরছি না।”এর আগে অমিত শাহের সাথে বৈঠক এবং কুস্তিগির সাক্ষী মালিক ও ফোগাটদের রেলের চাকরিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আন্দোলন ধাক্কা খাওয়ার জল্পনার সূত্রপাত হয়েছিল। কুস্তিগির-রা এই জল্পনাকে মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন। “আমরা আপোস করিনি, পিছু হঠবো না। এ সবই ভুয়া, আমরা এই প্রতিবাদ ফিরিয়ে নেব না। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের দুর্বল করার জন্য ভুয়া খবর ছড়ানো হচ্ছে… সমগ্র জাতি দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে”, বলেছেন কুস্তিগির-রা।

এই বিষয়ে আন্দোলন নিয়ে কুস্তিগিরদের কী বক্তব্য তা জানা যায়নি। এখন মামলা তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে দু’দফায়, বয়ানে এই ঘটনায় নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবি রেবেকা জন বলেন, ‘আমি একেবারেই অবাক নই। এইসব ঘটনায় অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে, অভিযোগকারীদের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েই থাকে। এই ধরনের ঘটনাগুলি খুবই হতাশাজনক। মহিলারা এমন ক্ষেত্রে কিন্তু নিজেদের জীবন, জীবিকা, কেরিয়ার বাজি রেখেই অভিযোগটা জানান।’

Leave a comment
scroll to top