এখনও চলছে অনার কিলিং? ২০২৩ সালে দাঁড়িয়েও চন্ডীগড়ের এই ঘটনায় এমন ঘটনায় আশ্চর্য সভ্য সমাজ। গ্রামের কারও সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িত কিশোরী বোন এমনিই সন্দেহ ছিল দাদার। সেই সন্দেহের বশেই বোনের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়েছিল দাদার। অভিযোগ, বচসার সময় গলা কেটে বোনকে খুন করেছেন তিনি। পঞ্জাবের মুখ্তসর জেলায় বাসিন্দা ওই কিশোরীকে খুনের পর গা-ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত দাদা। ঘটনার তদন্তে নেমে মঙ্গলবার পুলিশের দাবি, একেবারে ছক কষেই বোনকে খুন করেছেন অভিযুক্ত।
চন্ডীগড় পুলিশ সূত্রে খবর, খড় কাটার যন্ত্র দিয়ে গলা কেটে ১৭ বছরের কিশোরী বোনকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তার দাদার বিরুদ্ধে। ১৯ বছরের ওই অভিযুক্তের বাবা কয়েক বছর আগে মারা গিয়েছেন। তিন ভাই-বোনের মধ্যে ওই কিশোরী এবং তার দাদা দিনমজুরি করেন বলে জানা গেছে। ঘটনার সময় তাঁদের মা ক্ষেতে কাজ করতে গিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে অভিযুক্তের কিশোরীর ছোট বোনের অভিযোগ, দিদির সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির চলছিল দাদার। কথা কাটাকাটির সময় আচমকাই দিদির গলায় ধারালো অস্ত্র চালিয়ে দেন তিনি। ঘটনাস্থলেই মারা যায় তার দিদি।
গিদড়বাহার ডেপুটি পুলিশ সুপার জশবীর সিংহ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে কিশোরীর দেহ উদ্ধার করেন পুলিশ আধিকারিকেরা। তদন্তে নেমে এই খুনের প্রত্যক্ষদর্শী ১৩ বছরের মেয়েটির বয়ান নথিভুক্ত করেছেন তাঁরা। তবে ডিএসপি-র দাবি, বোনকে ঝগড়াঝাঁটির সময় আচমকা খুন করেননি অভিযুক্ত। বরং পরিকল্পনা করে বোনকে খুন করেছেন তিনি। সে জন্যই দিন কয়েক আগে ওই যন্ত্রটি কিনে এনেছিলেন, এমনটাই উঠে এসেছে তদন্তে। অভিযুক্তের সন্ধানে এলাকায় তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।