ওডিশার বালেশ্বরের করমন্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা নিয়ে ভুয়ো তথ্য প্রচার। ভুয়ো তথ্য প্রচার করলেন বিজেপি সমর্থক। জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি নিজেও একজন আইনজীবী। তামিলনাড়ু রাজ্যের কন্যাকুমারীর বাসিন্দা ওই আইনজীবীর নাম অ্যাডভোকেট সেন্থিল কুমার। সেন্থিলের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দেখে জানা যায় তিনি গেরুয়া শিবিরের সমর্থক।
ঠিক কী ঘটেছে?
বিজেপি সমর্থক ওই আইনজীবী একটি টুইট করেছিলেন। সেই টুইটে তিনি লেখেন, “এই দুর্ঘটনার পর বাহানাগা বাজার রেল স্টেশনের স্টেশন মাস্টার ‘মহম্মজ শেরিফ আহমেদ’ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন এবং এই ঘটনা প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত।”
কিন্তু এই তথ্য আদ্যপান্ত ভুল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করমন্ডল রেল দুর্ঘটনার সময় বাহানগা স্টেশন সুপারের দায়িত্বে ছিলেন এস বি মোহান্তি এবং স্টেশন ম্যানেজার ছিলেন এস কে পট্টনায়েক। সংশ্লিষ্ট স্টেশনে মহম্মদ শেরিফ আহমেদ নামক কোনও রেলকর্মী ছিলেন না। এরপর এই টুইটের বিষয়ে DMK-র সদস্য দীনেশ কুমার প্রশাসনের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন এই মর্মে যে, সেন্থিল কুমার ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছেন এবং তাঁর পোস্টের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উসকানি রয়েছে যা সাম্প্রদায়িক বিভাজন ও হিংসার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নামে ১৫৩, ১৫৩ এ, ৫০৫(১)(বি) এবং ৫০৫(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ এবং ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, তিনি বিজেপি-র সমর্থক। যদিও এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্বের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
ওডিশা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অশান্তি ছড়ানোর লক্ষ্যে ইচ্ছে করে কিছু ভুয়ো তথ্য ছড়ানো করা হচ্ছে। এইগুলি কোনওভাবেই কাম্য নয় বলে জানানো হয়। পাশাপাশি ভুয়ো তথ্য যাতে না ছড়ানো হয় সেই আবেদনও করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, করমন্ডল দুর্ঘটনার রেশ না কাটতেই চেন্নাইতে ফের লাইনচ্যূত জনশতাব্দি এক্সপ্রেস। চেন্নাই বাসিন ব্রীজ ওয়ার্কশপের কাছে ট্রেনের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ট্রেনে যাত্রী না থাকায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।