সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্ৰেস প্রার্থী নিয়ে জয় লাভের তিন মাস পর অভিষেকের হাত ধরে ২৯শে মে সোমবার তৃনমূলে যোগদান বায়রন বিশ্বাসের।
সোমবার দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাটালে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যান সেখানেই যোগ দিলেন সাগরদিঘির কংগ্ৰেস বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস। অভিষেকের হাত থেকে দলীয় পতাকা তুলে দলবদল বিশ্বাসের।
দলবদলের সময় বায়রন সরাসরি জানায় সাগরদিঘির জয়ের পিছনে কংগ্ৰেসের কোনো ভূমিকা নেই বলে জানিয়ে দেন। দলবদলের কারন হিসাবে বলেন, ” রাজ্যে যে উয়ন্নয়নের কর্মকাণ্ড চলছে তা আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সাগরদিঘির সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করেই আমি এই পদক্ষেপ করেছি।” তিনি আরো বলেন,”আমি আগে তৃণুমূল থেকে টিকিট নিয়ে দাঁড়াতে চেয়েছিলাম, কিন্তু না পেয়ে আমি কংগ্রেসের হয়ে দাঁড়িয়েছি। আমি কারও সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করিনি। আমার জয়ে কংগ্রেসের কোনও ভূমিকা ছিল না। আমি ভোটে দাঁড়ালে আরও বেশি ভোটে জিতব।”
তৃনমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, বায়রেনের হাত থেকে জোড়া ফুলে বদল সম্পর্কে বলেন, ‘ভোটে জয়ের পর বাইরনের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয়েছিল। জনসংযোগ যাত্রাতেও আমাদের কথা হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের লড়াই ছড়িয়ে দিতে বাইরন দলে যোগ দিলেন। আমি তাঁকে স্বাগত জানিয়েছি। বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সৈনিক হিসাবে জোর গলায় লড়াই করবেন।’
নিজের দলে জেতা বিধায়কের দলবদলির খবরে নীরব থাকেনি অধীররঞ্জন চৌধুরীও,তিনি বলেন, “আমি বলব বাইরন ভাই, অজুহাত দিও না। চলে গেছো ভালো কথা। আমরা সেজন্য তোমাকে গালাগালি দিচ্ছি না। আমরা তোমাকে বাজার দর তৈরি করে দিয়েছি। তার পর তৃণমূল তোমাকে কেনা বেচার জায়গায় গেছে। আমরা যদি না থাকতাম প্রোডাক্ট হিসাবে বাইরন বিশ্বাস তৃণমূলের কাছে গ্রাহ্য হত না। অকারণে কংগ্রেসকে অপমান না করে নিজের অভিসন্ধির দিকে তাকিয়ে কথা বলো, ভালো লাগবে। তুমি একটা ভালো পরিবারের ছেলে বলে বিশ্বাস করি। তোমার সততার ওপর আমার বিশ্বাস ছিল বলে টিকিট দিয়েছি”।
গত মার্চে কংগ্রেসের টিকিটে বামেদের সমর্থনে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হন বিশ্বাস, তারপর থেকে সাগরদিঘি মডেল নিয়ে বিতর্ক বেশ জোরালো হয়েছে।