মাধ্যমিকে পাশের নিরিখে একাদশে স্কুলগুলিতে ভর্তির জন্য আসন সংখ্যা বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল শিক্ষা সংসদ। এসএসসিতে শিক্ষকদের নিয়োগে যোগ্য-অযোগ্য বিবাদের মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা সংসদ। তাই শিক্ষকমহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জনও। সরকার এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি ৩০০ জন ছাত্র ভর্তি নিতে পারে। কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নয়া নির্দেশিকায় আরও ১০০টি আসন বৃদ্ধি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে স্কুলগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে আসন সংখ্যা এক লাফে বৃদ্ধি করে ৪০০ করল উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
যদিও সব স্কুল নয়, শুধুমাত্র ‘ডিএ গেটিং’ স্কুলগুলিতেই এই আসন বৃদ্ধি করা যাবে বলে জানিয়েছে সংসদ। এক্ষেত্রে, স্কুল জেলা পরিদর্শকদের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে স্কুলগুলিকে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের জন্য বড় সমস্যা হল শিক্ষক ঘাটতি। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলগুলিতে। রাজ্যে বন্ধও হয়ে গিয়েছে ৮০০০ এর উপর সরকারি স্কুল। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি। যদিও সুপ্রিম কোর্টে চাকরি কাড়ার উপর স্থগিতাদেশ জানিয়েছে তবুও বিভ্রান্তি রয়েছে কারণ গতদিনের শুনানি অনুযায়ী অযোগ্য শিক্ষকদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে রয়েছেন ৮০০-র বেশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষকমহলে।
এইদিন, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “শেষ কয়েক বছর ধরে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত রয়েছে। যাঁরা নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের একটা বড় অংশ এখন চাকরি হারানোর আশঙ্কায় ভুগছেন। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নতুন শিক্ষক পদের অনুমোদন, শূন্য পদে নিয়োগ জরুরি। সেটা সরকারকেই করতে হবে।” স্বপনবাবুর সুরেই কথা বলেছেন কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যাণ্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস। এইদিন তিনি বলেন, “কেবলমাত্র ছাত্র ভর্তির উর্ধ্বসীমা বৃদ্ধি করলেই সমাধান হবে না, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে পাঠদান করার শিক্ষকের অভাব মেটানো দরকার দ্রুত শূন্যপদে নিয়োগের মাধ্যমে।”