Close

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশ

১৬ই ফেব্রুয়ারি শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, শেষ হয় ২৯শে ফেব্রুয়ারি। নিয়ম মতো ৯০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ সংসদের।

চলতি বছর ১৬ই ফেব্রুয়ারি শুরু হয় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা, শেষ হয় ২৯শে ফেব্রুয়ারি। নিয়ম মতো ৯০ দিনের মধ্যেই ফল প্রকাশ সংসদের। মাধ্যমিকের মতোই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকাতেও বিরাট উপস্থিত জেলার পড়ুয়াদের। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭,৯০,০০০ এবং মোট পরীক্ষাকেন্দ্র ছিল ২,৩৪১টি। বুধবার উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণা করা হলেও এইদিন পড়ুয়ারা মার্কশিট হাতে পাবেন না বলে জানিয়েছে সংসদ। সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সংসদের ৫৫টি বিতরণ কেন্দ্রে আগামী ১০ মে সকাল ১০টা থেকে মার্কশিট এবং শংসাপত্র স্কুলগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে। ওই দিন স্কুলগুলি পরীক্ষার্থীদের সেই মার্কশিট এবং শংসাপত্র বিতরণ করবে।

মার্কশিটে নম্বরের পাশাপাশি পার্সেন্টাইলও থাকবে বলে জানিয়েছে সংসদ। এ বার মার্কশিটে কিউআর কোড থাকছে বলেও জানালেন সংসদের সভাপতি। সংসদের সভাপতি জানালেন পরীক্ষায় কোনও ধরনের প্রশ্ন ফাঁস হয়নি। যদিও ৪১ জন পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে ঢুকেছিলেন। তাঁদের মোবাইল এবং অ্যাডমিট কার্ড বাতিল হয়েছে। এ বছর সব নম্বর অনলাইনে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

এ বার পরীক্ষায় পাশ করেছেন ৬,৭৯,৭৮৪ জন পরীক্ষার্থী। পাশের হার গড়ে ৯০ শতাংশ। উচ্চ মাধ্যমিকে ১,৮৭,৯২৪ জন সংখ্যালঘু পরীক্ষার্থী ছিলেন। পাশের হার ৮৬.৯০। জেলাভিত্তিক পাশের হারে এগিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর। পাশের হারের নিরিখে কলকাতা পাঁচ নম্বরে। এবছর উচ্চ মাধ্যমিকে ৬০টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে ১৫টিই ভাষার পরীক্ষা। এই বছর উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে ৫৮ জন পড়ুয়া, এর মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ৩৫ জন, ছাত্রী ২৩ জন। ৫৮ জনের মধ্যে হুগলি থেকে ১৩ জন, বাঁকুড়া থেকে ৯ জন, দক্ষিণ ৭ জন, কলকাতা থেকে ৫ জন, পূর্ব বর্ধমান এবং পূর্ব মেদিনীপুর থেকে ৪ জন, কোচবিহার এবং মালদহ থেকে ৩ জন রয়েছেন।

পাশের হারের নিরিখে এগিয়ে ছেলেরা। পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন অভীক দাস। অভীক আলিপুরদুয়ারের ম্যাকউইলিয়াম হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র। তিনি পেয়েছেন ৪৯৬। দ্বিতীয় হয়েছেন নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়া সৌম্যদীপ সাহা, প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। তৃতীয় হয়েছেনৎঅভিষেক গুপ্ত, মালদহের রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের পড়ুয়া। প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪। মেয়েদের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিকে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছেন প্রতীচী তালুকদার এবং স্নেহা ঘোষ। সব মিলিয়ে চতুর্থ স্থানে। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। প্রতীচী কোচবিহারের সুনীতি অ্যাকাডেমির এবং স্নেহা চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারীশিক্ষা মন্দিরের পড়ুয়া।

Leave a comment
scroll to top