Close

প্রেসিডেন্সি: হিন্দু হোস্টেলে ১৮ ঘন্টা ধরে ঘেরাও ডিন অফ স্টুডেন্টস!

আবার সরগরম প্রেসিডেন্সি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হস্টেলে একাধিক সমস্যার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আবার সরব আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

আবার সরগরম প্রেসিডেন্সি। বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু হস্টেলে একাধিক সমস্যার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আবার সরব আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হিন্দু হোস্টেলের ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’কে ১৮ ঘণ্টার ধরে ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন হস্টেলের আবাসিকেরা। মঙ্গলবার রাত থেকে চলছে এই অবস্থান বিক্ষোভ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও চালু রয়েছে বিক্ষোভ। হিন্দু হস্টেলের আবাসিকদের দাবি, হস্টেলের সমস্যার তালিকা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধানে কর্তৃপক্ষ কোনও রকম পদক্ষেপ করেননি বলে আবাসিকদের অভিযোগ। আবাসিক ছাত্র ছাত্রীদের অভিযোগ, গত দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড বন্ধ রয়েছে। মেস চালু করার জন্যও লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন আবাসিক পড়ুয়ারা। কিন্তু এত আন্দোলনের পরেও কোনও সুরাহা হয়নি সমস্যার।

এর আগেও হিন্দু হোস্টেলের আবাসিকেরা ২০১৮ সালে তারা আন্দোলন করেছিলেন। আবাসিক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হিন্দু হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড ২০১৫ থেকে বন্ধ। এর ফলে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল প্রায় ২০০ ছাত্র হস্টেলে থাকার সুযোগ থেকে ক্রমাগত বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি, হস্টেলের শয্যা ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হলেও মেসে খাবারের গুণমানের উন্নতি হয়নি একেবারেই। প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও ওয়াইফাইয়ের মতো সাধারণ সুযোগ-সুবিধাগুলি আবাসিকদের প্রদান করা হচ্ছে না।



প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিদ্যা বিভাগের প্রাক্তন ছাত্রী অলিভিয়ার সূত্রে জানা গিয়েছে, হোস্টেলের বিষয়ে ডিন অফ স্টুডেন্টসকে জানানো হলে তিনি জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রক ও শিক্ষা মন্ত্রক থেকে ফান্ড না এলে খোলা যাবে না ওয়ার্ড। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত উপাচার্যবিহীন এখন তাই ডিন অফ স্টুডেন্টস এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম। কিন্তু গত পাঁচ বছরে কেন এই সমস্যার সমাধান করা গেলনা? প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, ইতিপূর্বে এই সব সমস্যার সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাওয়া হলে ‘ওয়েলফেয়ার কমিটি’র সঙ্গে বৈঠকের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে কেউ বৈঠকে উপস্থিত হননি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, মঙ্গলবার আবার বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেলের সমস্যা নিয়ে বৈঠকের দাবি জানালে কর্তৃপক্ষের তরফে সেই বৈঠকে বসতে অস্বীকার করা হয়। এর পরেই আন্দোলনে নেমে অবস্থান কর্মসূচিতে শামিল হন হিন্দু হস্টেলের আবাসিকেরা। ঘেরাও করা হয় ‘ডিন অফ স্টুডেন্টস’কে।

হোস্টেলের আবাসিকদের দাবি, হিন্দু হস্টেলের মেস ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে হবে। মেসের ছাত্রেরা নিজের থেকে খরচ চালাতে অপারগ। তাই মেসের সমস্ত খরচের ভর্তুকিও (মেস কর্মীদের বেতন এবং গ্যাসের ভর্তুকি) দিতে হবে কর্তৃপক্ষকেই। অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল নন, এমন পড়ুয়াদের কথা ভেবে খুলে দিতে হবে হস্টেলের ৩, ৪, ৫ নম্বর ওয়ার্ড। একই সঙ্গে ডিন ওফ স্টুডেন্টস, কর্তৃপক্ষের অন্যান্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য এবং হস্টেল আবাসিকদের প্রতিনিধিদের নিয়ে ‘হস্টেল ওয়েলফেয়ার কমিটি’ গঠনের দাবি জানিয়েছেন আবাসিকেরা। এছাড়াও পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, হস্টেলে যত দ্রুত সম্ভব ওয়াইফাই লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে পড়ুয়ারা দাবি জানিয়েছেন। যত ক্ষণ না তাঁদের দাবি পূরণের ব্যাপারে কোনও সদুত্তর মিলছে তত ক্ষণ পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচি চলবে বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

Leave a comment
scroll to top