মনোনয়ন জমা দিলেও ভাঙড়ের ৮২ জন ISF প্রার্থী পঞ্চায়েত ভোটে লড়তে পারবেন না। মঙ্গলবার এমনটাই জানাল কলকাতা হাই কোর্ট। এই প্রার্থীদের এর আগে ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের একক বেঞ্চ। কিন্তু মঙ্গলবার বিচারপতি সিংহের সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার সুযোগ চেয়ে সোমবারই হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ভাঙড়ের এই ৮২ জন ISF প্রার্থী। এনারা প্রত্যেকেই পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিলেও তাঁদের নাম হঠাৎ মুছে গিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে। সোমবারের এই মামলায় বিচারপতি অমৃতা সিংহ কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে হবে। একই সঙ্গে বিচারপতি বলেছিলেন, ISF প্রার্থীদের অভিযোগ সত্য হলে তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগও করে দিতে হবে কমিশনকে। কিন্তু কমিশন সেই নির্দেশের পরেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই ISF প্রার্থীরা। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত মামলা ওঠে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে। ডিভিশন বেঞ্চ বিচারপতি অমৃতা সিংহের একক বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
মঙ্গলবার ডিভিশন বেঞ্চ তাদের নির্দেশে জানিয়েছে, এই ৮২ জন ISF প্রার্থী এখনই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। একক বেঞ্চ মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে যে নির্দেশ দিয়েছিল আপাতত তা স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পরে মামলাটির আবার শুনানি হবে। যদিও ১৫ দিন পর পঞ্চায়েত ভোটই হয়ে যাওয়ার কথা। তাই আপাতত এ বারের পঞ্চায়েত ভোটে এই প্রার্থীরা ভোটে লড়তে পারছেন না বলেই খবর।
উল্লেখ্য, ISF প্রার্থীদের মতোই ভাঙড়ের ১৯ জন সিপিএম প্রার্থীও মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে নাম সরে যাওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলাতেও ১৯ সিপিএম প্রার্থীকে আবার ভোটে লড়ার সুযোগ করে দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমতা সিংহ। কিন্তু সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কমিশন হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গেলে তারা বিচারপতি সিংহের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। অন্য দিকে, ভাঙড়ের বিধায়ক তথা ISF নেতা নওশাদ সিদ্দিকির একটি মামলাও সোমবার খারিজ হয়ে গিয়েছিল হাই কোর্টে। হাইকোর্টের এই রায়কে অগণতান্ত্রিক বলে বিবেচনা করছে রাজ্যের বিরোধীরা।