Close

টাকা দিয়েও চাকরি হয়নি, আদলতে চাকরি প্রার্থী

টাকা দিয়েও চাকরি না পাওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ চাকরি প্রার্থী। চাকরির টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

টাকা দিয়ে চাকরি না পেয়ে কোর্টে প্রার্থী। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে দু’জন তাঁর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। ইতিমধ্যে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি ফাঁস হওয়ায় তিনি ওই তা ফেরত চান।
নিয়োগ দুর্নীতিতে যাঁরা টাকা নিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সিবিআই, ইডি ব্যবস্থা নিলেও যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন বা পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তাঁদের কেন তদন্তের ঘেরাটোপে নেওয়া হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন বার বার তুলেছে আদালত। আদালতের পর্যবেক্ষণে তাঁরাও অভিযুক্ত।
সূত্রের খবর‌। এমনই এক ‘অভিযুক্ত’ নদিয়ার হরিণঘাটার বাসিন্দা মহিদুল মণ্ডল নিজেই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন। তাঁর অভিযোগ, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক পদের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে দু’জন তাঁর কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। এখন স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি ফাঁস হওয়ায় তিনি ওই টাকা ফেরত চান। কিন্তু উল্টে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। থানায় অভিযোগ জানালেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার মহিদুলের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলাটি উত্থাপন করেন। আদালত মামলা দায়ের করার অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি ED এবং সিবিআইকে নোটিস দিতে বলেছে। আগামী সোমবার মামলার শুনানি হবে।দুর্নীতি ফাঁস হওয়া পর চাকরির জন্য টাকা দেওয়া যুবক-যুবতীরা কেউ সামনে আসতে চাননি। তাঁদের বেশিরভাগ টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সেখানে মহিদুল এগিয়ে এসেছেন দেখে অনেকেই বিস্মিত। মহিদুলের বক্তব্য, ‘‘যা বলার আমার আইনজীবী বলবেন।’’ সুদীপ্ত জানান, মহিদুল উচ্চ প্রাথমিক টেট পাশ করেছিলেন। কিন্তু নিয়োগ আটকে ছিল। ২০২০-২১ সালে তিনি জানতে পারেন, দুই ব্যক্তি চাকরি দিতে পারেন। তাঁদের মধ্যে এক জন নিজের টেট ফেল স্ত্রীকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ। সুদীপ্ত আরও জানান, এর পরে কয়েক দফায় মহিদুলের কাছ থেকে ছ’লক্ষ টাকার বেশি নেওয়া হয়। এর কিছু দিন পরেই স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি ফাঁস হওয়ায় মহিদুল টাকাটি ফেরত আনতে যান। তাঁকে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হয়। মহিদুল পুলিশে অভিযোগ জানান।পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে, এর মধ্যে ওই দু’জন মহিদুলকে কিছু টাকা ফেরত দেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ, তার পর থেকে পুলিশের কাছে করা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মহিদুলকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে সুদীপ্ত জানান।

Leave a comment
scroll to top