দুয়ারে ভোট। কিন্তু পূর্ণ হয়নি দীর্ঘদিনের দাবি। কোথাও রাস্তা, কোথাও জলের দাবিতে ভোট বয়কট জনগণের। জেলার তাপমাত্রা ৪০ পার অথচ পঞ্চায়েতের দেওয়া কল থেকে পড়ছে না জল। তীব্র গরমেও জল কষ্টে নাজেহাল হুগলির কোদালিয়ার মানুষ। এক পঞ্চায়েতের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়ে আরও এক পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে গেল। এরপরেই ভোট চাইতে দরজায় দরজায় রাজনৈতিক দল। কিন্তু এবার নিজের দাবি সরব হয়েছে এলাকার মানুষ। ভোট চাইতে এলে আগে ফেরত দিতে হবে জলের কলের টাকা, হুঁশিয়ারি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
নাগরিক পরিষেবায় খামতির উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজ্যের একাধিক এলাকায়। গত পাঁচ বছরের বকেয়া দাবিকে তুলে ধরে বিক্ষোভ জনসাধারণের। পাঁচ বছরে পানীয় জলের সমস্যার সমাধান না হওয়ায় হতাশ হুগলির কোদালিয়া। সূত্রের খবর, ভোট চাইতে গেলে কলের টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে পোস্টার দিয়েছেন কোদালিয়ার বাসিন্দারা। কোদালিয়া-২ পঞ্চায়েতের নলডাঙা,কৃষ্ণপুর এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার।তৃণমূল প্রার্থীরা যদি ভোট চাইতে যায় তাদের কলের টাকা ফেরত দিতে হবে এই দাবিতেই পোস্টার মারা হয়েছে।
সংবাদকর্মীদের এই দিন বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খুব কম সময় বাড়ি বাড়ি জল দেওয়া হয়। কিন্তু, জল পড়ে না পঞ্চায়েতের তরফে লাগানো কল থেকে। টাকা দিয়ে কল বসিয়েও হয়নি সমাধান। পানীয় জলের জন্য তাদের খুবই সমস্যা হয়। এবার এই সমস্যার সমাধান না হলে চরম পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি বাসিন্দাদের।
তবে বিষয়টি নিয়ে বিরোধিতা করেছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। হুগলি সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সম্পাদক অসিত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনের আগে সুপরিকল্পিত ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্যই বিডিও অফিসে এসেছিলেন লকেট। তিনি সদল বলে এসে বিডিও অফিসে ঢোকেন। এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে সে কারণে আমরা বিজেপিকে সতর্ক করে দিতে চাইছি।
অন্যদিকে পানীয় জলের দাবিতে ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্টার পড়ল জঙ্গলমহলে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঁকুড়া জেলার সিমলাপালের লক্ষীসাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের দোলদেড়িয়া গ্রামে পোস্টার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে । গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বছরের পর বছর কেটে গেলেও গ্রামে পানীয় জলের কোনও সংস্থান নেই বলে সূত্রের খবর। গরমে পুড়ছে বাংলা। ভোটের পরেই ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যাওয়া শাসকদের তাই আর তোয়াক্কা করছে না জনগণ।
আবার পাকা রাস্তার দাবিতে ভোট বয়কট-এর পথে হাঁটলেন মালদার গাজোল ব্লকের দেওতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা। শুধু তাই নয়, কেউ যদি ভোট দিতে যান তাহলে তাঁকে দিতে হবে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই গ্রামে পোস্টারিংও করেছেন বাসিন্দারা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, গত পঞ্চাশ বছর ধরে গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ যাতায়াতের রাস্তা পাকা হয়নি। বর্ষা এলে ওই রাস্তা যাতায়াতের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই এবার রাস্তা পাকা না হলে ভোট দেবে না মানুষ।