Close

১০০ দিনের কাজ, টাকা বন্ধ কেন? মোদির কাছে রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের

দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ১০০ দিনের কাজ-এর টাকা। ৬ই জুন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের। কি বলছে হাইকোর্ট নির্দেশিকা?

১০০ দিনের কাজের বকেয়া মিটবে কবে? প্রতীকি ছবি

বাংলায় ১০০ দিনের কাজ-এর টাকা বন্ধ কেন? মোদী সরকারের কাছে এই মর্মে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের। বাংলায় ১০০ দিনের কাজ-এর টাকা বেশ কয়েক মাস ধরে বন্ধ। খেতমজুর কমিটি এই মামলা করেছিল হাইকোর্টে। এই জনস্বার্থ মামলার শুনানির পরে আজ ৬ই জুন কলকাতা হাইকোর্ট টাকা বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট।

১০০দিনের কাজ-এর বকেয়া নিয়ে অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন অনেকদিন ধরেই চলছে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের অবস্থা যে কে সেই। শুনানি চলাকালীন পাল্টা অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল বলেন, এই প্রকল্পের টাকা লুঠ হয়েছে। ভুয়ো জব কার্ড করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। যদিও এতে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি আদালতের বক্তব্যের। আদালত এদিন স্পষ্ট বলেছে, কেন্দ্রকে গোটা বিষয়টা যথাযথভাবে তদন্ত করে দেখতে হবে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্তরা যাতে বঞ্চিত না হন তাও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে।

১০০ দিনের কাজ মানে গ্রামীণ জনতার কর্মসংস্থানের বিষয়। গোড়া থেকেই রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়টি নিয়ে সরব। নবান্ন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, কোথাও যদি অনিয়ম হয় তার তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দিক কেন্দ্র। কিন্তু সবার টাকা আটকে রাখবে কেন? তাছাড়া কাজ করানোর পরেও মজুরি আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রাজ্যের। এদিন শুনানির পর সময় বেঁধে দিয়েছে হাইকোর্ট। হাইকোর্ট বলেছে, ২০ জুনের মধ্যে কেন্দ্রকে এ ব্যাপারে রিপোর্ট দিতে হবে। তারপর আরও এক সপ্তাহ সময় পাবে রাজ্য। রাজ্য সরকারের যদি কিছু বলার থাকে তাহলে ওই সময়ের মধ্যে নবান্ন তা জানাতে পারবে। জুলাই মাসে ফের এই মামলার শুনানি হবে হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হীরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বলেছে, রাজ্য সরকার যে রিপোর্ট দিয়েছিল কেন্দ্রকে সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক কী পদক্ষেপ করেছে তাও জানাতে হবে। এখন এটাই দেখার বিষয় কী রিপোর্ট পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার।

লেখক

Leave a comment
scroll to top