Close

গঙ্গাবক্ষে সেতু ভেঙে পড়ল বিহারে

তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল সেতু। একের পর এক বিপর্যয়ের দায় কার? বিশেষজ্ঞদের দাবি ক্রমবর্ধমান দুর্নীতিই এর অন্যতম কারণ।

একের পর এক বিপর্যয়। উড়িষ্যায় রেল দুর্ঘটনার পর এবার বিহারে গঙ্গার ওপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মান সেতু। রবিবারের ঘটনার পর সেতু নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ গত বছরের এপ্রিল মাসে বিহারের ওই সেতুটি ইতিমধ্যেই একবার ভেঙে পড়েছে। সেই ঘটনার ১৪ মাস কাটতে না কাটতেই ফের ভেঙে পড়ল সেতুর একাংশ।
এলাকার সূত্রে খবর, রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ পরবত্তা থানা এলাকায় সুলতানগঞ্জ এবং অগুবানির মধ্যে গঙ্গার নদীর উপর যে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছিল, সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। প্রাথমিকভাবে খবর, ১০, ১১ এবং ১২ নম্বর স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে যায়। তিনটি স্তম্ভের সঙ্গে যে অংশটি যুক্ত ছিল, সেটিও হুড়মুড়িয়ে গঙ্গায় ভেঙে জানা গেছে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে সেই চার লেনের সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ২০১৯ সালের মধ্যে সেই সেতু পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি অধিগ্রহণের কাজ ধীরগতিতে হওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি। এরপর করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হয়ে যাওয়ায় ৩.১১ কিলোমিটারের সেতুর কাজ থমকে গিয়েছিল। পরবর্তীতে ফের কাজ শুরু হয়।
কিন্তু ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল সুলতানগঞ্জের দিকে সেতুর একাংশ ভেঙে পড়েছিল। কী কারণে সেতু ভেঙে পড়েছে, তা খতিয়ে দেখতে সেইসময় আইআইটির বিশেষজ্ঞদের নিযুক্ত করা হয়েছিল। তারপরও ফের সেতু ভেঙে পড়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কয়েক মাস পরেই ১,৭১০.৭৭ কোটি টাকার ওই সেতুর উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। বিহারের এই সেতু নির্মাণের বরাত পেয়েছিল বিহার রাজ্য পুল নির্মাণ নিগম লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে, এসপি সিঙ্গলা কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। সুলতানগঞ্জের বিধায়ক ললিতকুমার মণ্ডলের দাবি, চূড়ান্ত গাফিলতির কারণে নির্মীয়মান সেতুটি ভেঙে পড়েছে। সেই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে বলে দাবি করেছেন সুলতানগঞ্জের বিধায়ক।

Leave a comment
scroll to top