পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে বিকল্প দিনের প্রস্তাব দিল কলকাতা হাইকোর্টের। আদালতের শুনানি চলাকালীন এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে আজ এই মামলার শুনানি ছিল।
আজ পঞ্চায়েত ভোট-এর বিকল্প দিনের প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই ৯ই জুন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ই জুন। ভোট ঘোষণা হতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, মনোনয়নের সময়সীমা বৃদ্ধি সহ একাধিক দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
আজ সকালে শুনানি শুরু হওয়ার পর রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে আদালতে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। মনোনয়ন পেশের সময় বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প পঞ্চায়েত ভোট-এর দিনের প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট ১৮ জুন অবধি মনোনয়ন জমা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছে। এর পাশাপাশি ৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে ১৪ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট করানোর প্রস্তাব দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী গুরু কৃষ্ণ কুমার সুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট-এ ৭৩ হাজার আসন রয়েছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রায় ২০ হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দল জয় লাভ করেছিল। প্রতিদিন ৪ ঘন্টা মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য ধার্য। এক একটা মনোনয়ন জমা দিতে ৪৯ সেকেন্ডেরও কম সময় পাওয়া যাচ্ছে।’
পঞ্চায়েত ভোট মামলার শুনানি চলাকালীন মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা একদিন বাড়িয়ে ১৬ জুন অবধি করা যেতে পারে বলে জানান কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র। পালটা প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন ‘একদিন বাড়ানোর কথা কেন বলা হচ্ছে? আইনে কি এমন কিছু বলা হয়েছে?’ কমিশনের আইনজীবী বলেন, ‘না আইনে কোথাও এমন কিছু বলা নেই।’
এরপরই প্রধান বিচারপতি কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শনি-রবিবার ছুটি ছিল। মনোনয়ন জমা দিতে ন্যূনতম সময় লাগে। আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি পর্যাপ্ত মনোনয়নপত্র কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। এই বিষয় গুলো যাতে না হয় সেটা কমিশন নিশ্চিত করুক।’ প্রধান বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটে যা ঘটেছিল, কোনওভাবেই যাতে তাঁর পুনরাবৃত্তি না হয়।