রাহুল গান্ধীর সংসদ পদ খারিজ হওয়ায় কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাননি তিনি। সাধারন দেশের নাগরিক হিসাবেই ক্যালিফোর্নিয়া যাচ্ছেন রাহুল।
কূটনৈতিক পাসপোর্ট ‘টাইপ ডি’ পাসপোর্ট নামেও পরিচিত, ভারতীয় কূটনীতিক, এই পাসপোর্ট সরকারী কর্মকর্তা এবং নির্বাচিত ব্যক্তিদের জন্য জারি করা হয় যারা ভারত সরকারের পক্ষ থেকে সরকারী ভ্রমণের জন্য অনুমোদিত। কূটনৈতিক পাসপোর্ট মেরুন রঙের হয়।
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা সাধারণত কিছু বিশেষ সুবিধা এবং অনাক্রম্যতার অধিকারী হয়। এর মধ্যে রয়েছে গ্রেফতার, আটক, এবং আয়োজক দেশে কিছু আইনি প্রক্রিয়া থেকে অনাক্রম্যতা, কোনো বাধা ছাড়াই সরকারী দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা রক্ষা করে।
মানহানি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর কূটনৈতিক পাসপোর্টটি সমর্পণ করতে হয় রাহুল গান্ধীকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদবী নিয়ে কটূক্তির জেরেই এই অপরাধমূলক মানহানির মামলার অভিযোগ আনা হয় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই জন্যই চলে যায় সাংসদ পদ এবং হাতছাড়া হয় সাংসদের জন্য বরাদ্দ সরকারি বাসভবনও।
দেশের সাধারন নাগরিক হিসেবেই পাসপোর্টের আবেদন জানান রাহুল গান্ধী। কিন্তু তাতে নো অবজেকশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন ছিল। তার জন্য দিল্লি কোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল। তার এই আবেদনের বিরোধিতা করেছে বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।
যদিও আদালত বিজেপি নেতার এই দাবি মানতে নারাজ। আদালত জানায়, ২০১৮ সাল থেকে মামলাটি ঝুলে রয়েছে। তার পরও একাধিক বার বিদেশ গিয়েছেন রাহুল। ভ্রমণের অধিকারও নাগরিকের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে বলে জানিয়ে দেয় আদালত।
রাহুল গান্ধীর ১০ বছরের পাসপোর্টের আবেদনকে খারিজ করে সাধারন নাগরিক হিসাবে ৩ বছরের পাসপোর্ট মঞ্জুর করা হয়। আগামী ৩০শে মে আমেরিকার উদ্দেশ্য রওনা দেবেন রাহুল গান্ধী। ক্যালিফোর্নিয়ায় একটি প্রবাসী বাঙালিদের অনুষ্ঠান “মহব্বত কি দুকান” এ যোগ দিয়ে, সান ফ্রান্সিসকো এবং নিউইয়র্কও যাবেন। স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতাও দেবেন তিনি।