রেসলিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার (WFI) প্রধান এবং বিজেপি সাংসদ ব্রিজ ভূষণ শরণ সিং-এর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে দিল্লির যন্তর মন্তরে বিক্ষোভকারী কুস্তিগীররা, কৃষক ও কৃষক নেতাদের বিক্ষোভের জায়গায় উপস্থিত থাকার অনুরোধ করেছিল। এর কয়েকঘন্টা আগে দিল্লি পুলিশ এবং কুস্তিগীরদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। একাধীক কৃষক নেতা অভিযোগ করেছেন যে যন্তর মন্তরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে হরিয়ানার সিংঘু সীমান্তে তাদের আটকে দেওয়া হয়।
ভারতীয় কিষান ইউনিয়ন (BKU) নেতা অভিমন্যু কোহার টুইটারে বলেছেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রবীন ও নবীনরা কুস্তিগীরদের সমর্থনে যন্তর মন্তরে যাচ্ছিলাম। সিংঘু বর্ডারে, দিল্লি পুলিশ কর্মীরা আমাদের বাধা দেয়, দুর্ব্যবহার করে, গালি দেয় এবং বয়স্ক কৃষক নেতাদের লাথি মারে। তারা ধাক্কা দিয়ে পুলিশ বাসে তুলে আমাদের বাবনা থানায় নিয়ে আসে। আমি বিবেকবান সবাইকে রাজপথে নামার অনুরোধ করছি। এটা কোনো ছোট বিষয় নয়, এটা আমাদের মেয়েদের সম্মানের বিষয়।”
সংবাদ সংস্থা ANI-সূত্রে জানা গেছে যে, দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে সিংঘু সীমান্ত এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
কোহার ট্যুইটারে ভিডিও বার্তার এক অংশে ভারতীয় জনতা পার্টি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, তারা কৃষক বা দেশের মহিলাদের পাশে দাঁড়াতে অক্ষম। তিনি বলেন, “আমাদের চাষের পাশাপাশি আমাদের মেয়েদেরও বাঁচাতে হবে। বিজেপি উভয়েরই গুরুত্ব বোঝে না।”
তিনি আরও বলেন, “সরকার যতই নৃশংসতা করুক, আমরা অবদমন স্বীকার করব না, মাথাও নত করব না, পিছুও হটব না।
কোহরের পোস্ট করা অন্য একটি ভিডিওতে, দিল্লি পুলিশের আধিকারিকদের সাথে সিংঘু সীমান্তে বেশ কয়েকজন কৃষক ও নেতাকে দেখা যাচ্ছে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে বাধা দেওয়ার জন্য ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। কৃষকদের পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি করতে দেখা যায়, এবং পুলিশ কর্মকর্তারা কৃষকদের আটক করে।
ANI আরও জানিয়েছে যে বর্ষীয়ান আধিকারিকেরা সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (DCP)-দের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তাঁদের অনুমান ছিল বেশ কিছু মানুষ কুস্তিগীরদের প্রতিবাদে অংশ নিতে যাবে।
বুধবার, ৩ রা মে, যন্তর মন্তরে দিল্লি পুলিশ এবং প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। কুস্তিগীরদের অভিযোগ, পুলিশ সদস্যরা তাদের মারধর করেছে। ধস্তাধস্তির পরে কংগ্রেস নেতা দীপেন্দর হুডা এবং AAP নেতা সোমনাথ ভারতী সহ চারজনকে আটক করা হয়েছে, পুলিশ জানিয়েছে।
কুস্তিগীর বজরং পুনিয়া ANI-কে বলেন, “আমাদের পুরো দেশের সমর্থন দরকার, সবাইকে অবশ্যই দিল্লিতে আসতে হবে। পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করেছে, মহিলাদের লাঞ্ছনা করছে এবং ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কিছুই করছে না।”