রবিবার ২৮শে মে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর অনুপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরেই উদ্ধোধন হল নয়া সংসদ ভবন।
রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রন না জানানোয় ২০টি দল উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে। তাও বিজেপি সরকারের ৯বছর পূর্তির নতুন সংসদ ভবন উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে বাধা পড়ে নি কোনো।
সকাল ৭টা থেকে সংসদ ভবনের উদ্ধোধনী কার্যকলাপ শুরু হয়। স্বাধীনতা পাওয়ার পর ব্রিটিশ সরকার স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর হাতে রাজদন্ড “সোঙ্গোল” তুলে দিয়ে যায়। নতুন সংসদ ভবনের লোকসভার স্পিকারের আসনের পাশে বসানো হবে রাজদন্ড বলে জানা যাচ্ছে। সেই রাজদন্ডের সামনে সাষ্টাঙ্গে প্রনাম করলেন মোদী। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সাথে যজ্ঞ-হোম সেরে পুরোহিতদের প্রনাম করেন প্রধানমন্ত্রী। সংসদ ভবন তৈরির কাজে যুক্ত শ্রমিকদের উত্তরীয় পড়ে সম্মানও জানায় তিনি।
গনতন্ত্রের পীঠস্থান এই নয়া সংসদ ভবন পুরাতন সংসদ ভবনের পাশেই তৈরী করা হয়েছে। ত্রিভুজাকার চারতলা বাড়ি প্রায় সাড়ে ৬৪ হাজার বর্গ মিটার জায়াগার ওপর। জ্ঞানদ্বার, শক্তিদ্বার এবং কর্মদ্বার নামে তিনটি দরজা রয়েছে নয়া সংসদ ভবনে।
নতুন ভবনে লোকসভা, রাজ্যসভা, সেন্ট্রাল লাউঞ্জ, সংসদীয় কর্তৃপক্ষের কার্যালয়, কনস্টিটিউশন হল, গ্রন্থাগার, ডাইনিং রুম এবং থাকছে পর্যাপ্ত গাড়ি রাখার ব্যবস্থা। নতুন লোকসভা ভবন জাতীয় পাখি ময়ূরের আদলে, এবং রাজ্যসভা জাতীয় ফুল পদ্মের আদলে স্থাপিত হয়েছে।
দ্বিতীয় দফার অনুষ্ঠান শুরু হবে ১২ টা থেকে। সেখানে দুটি ফিল্ম দেখানো হবে। তারপর ৭৫ টাকার কয়েন এবং স্ট্যাম্প প্রকাশ করে বক্তৃতা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নতুন সংসদ ভবনের চাকচিক্য বিজেপি কে বিতর্ক থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে পারেনি। ২০ টি দলের অনুষ্ঠান বয়কট ঘিরে তো জলঘোলা হচ্ছেই আবার কয়েকটি বিরোধী দলের প্রশ্ন, কেনো হিন্দুত্ববাদী নেতা বীর সাভারকারের জন্মদিনেই সংসদ ভবনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান করা হলো ?