রবিবার, ৯ই এপ্রিল, ইয়েমেনের রাজধানী সানায় সৌদি-ওমানি প্রতিনিধি দল এবং হুতি কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়েছে, হুতি পরিচালিত সংবাদ সংস্থা সাবা সূত্রে জানা গেছে, রিয়াদ চায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি। প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের সংবাদপত্র আশরাক আল-আওসাত সূত্রে খবর ছিল, হুতি কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্থায়ী শান্তিচুক্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে একটি সৌদি-ওমানি প্রতিনিধি দল বৈঠকে বসতে চলেছেন। একজন সৌদি বন্দীর মুক্তির প্রতিক্রিয়ায় সৌদি ১৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে, যা এই শান্তি প্রকৃয়াকে ত্বরান্বিত করেছে।
জাতিপুঞ্জের শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগের পাশাপাশি ওমানের সক্রিয় মধ্যস্থতায় রিয়াদ এবং সানার মধ্যে শান্তির প্রকৃয়া গতি পেয়েছে। সম্প্রতি চীনের মধস্থতায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌদি আরব ও ইরান তাদের সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। উল্লেখ্য, ইয়েমেনে হুতি এবং হাদি সরকারের মধ্যে ৮ বছর যাবৎ চলে আসা গৃহযুদ্ধের আড়ালে আসলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সৌদি এবং হুতি আন্দোলনের মদতদাতা ইরান ছায়াযুদ্ধ চালিয়ে এসেছে। ইয়েমেনের প্রতিবেশি ওমান বেশ কয়েক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছে যাতে ইয়েমেনের অভ্যন্তরে যুদ্ধরত দু-পক্ষের মধ্যে সমঝোতার বাতাবরণ তৈরি করা যায়, বৃহত্তর অর্থে সৌদি, ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে।
শনিবার রাতে সেখানে পৌঁছনো প্রতিনিধি দল সানায় রাষ্ট্রপতি ভবনে হুথি সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের প্রধান মাহদি আল-মাশাতের সাথে দেখা করেছেন। আল-মাশাত জানিয়েছেন সফরকারি দল চায় সম্মানজনক শান্তি এবং ইয়েমেনের জনগন চায় স্বাধীনতা। দু-পক্ষই চেষ্টা করবে শত্রুতার প্রশ্নে একটি সমঝোতায় পৌঁছনোর এবং সৌদি নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা অপসারন করার।
রয়টার্স সূত্রে খবর যে, সৌদি-ওমানি প্রতিনিধি দল এবং হুতি কর্মকর্তাদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে হুতি নিয়ন্ত্রিত বন্দরগুলিকে সম্পুর্ন খুলে দেওয়া, সরকারি চাকুরিজীবীদের বকেয়া বেতন দেওয়া, দেশ থেকে বৈদেশিক সামরিক বাহিনীর অপসারন প্রকৃয়ার জোর দেওয়া এবং সেই সংক্রান্ত সময়সারণী তৈরি করা প্রভৃতি।