Close

হামাসের হামলায় বিপর্যস্ত ইজরায়েল

আল-আকসা মসজিদে প্যালেস্তিনিয়দের উপর সাম্প্রতিক হামলার ও গাজা ও দক্ষিণ লেবানন হামলার জবাবে শনিবার ইজরায়েল কে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র দাগে হামাস।

হামাসের হামলায় বিপর্যস্ত ইজরায়েল

আল-আকসা মসজিদে প্যালেস্তিনিয়দের ওপর ইজরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার জবাবে গাজা ও দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে বলে শনিবার, ৮ই এপ্রিল জানিয়েছে ইরানের সরকারি সংবাদ মাধ্যম পার্স টুডে

এ ছাড়াও অধিকৃত প্যালেস্তাইনে ইজরায়েলিদের ওপর হামলার তিনটি পৃথক ঘটনায় অন্তত তিন ইজরায়েলি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। প্রতিরোধী পক্ষের যোদ্ধাদের এহেন পাল্টা হামলার ঘটনায় ইজরায়েলের শাসকগোষ্ঠী বেশ হতভম্ব ও বিচলিত হয়ে পড়েছে।

ইজরায়েল এখন গাজা ও লেবাননের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়বে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে এবং এ নিয়ে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের মধ্যেই দ্বিধা-বিভক্তি দেখা দিয়েছে। ইজরায়েলের ঘরোয়া রাজনৈতিক সংকট এবং ভঙ্গুর মন্ত্রীসভাই এই অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে।

ইজরায়েল গাজা ও দক্ষিণ লেবাননে সীমিত মাত্রায় কিছু হামলা চালিয়ে প্রতিরোধ ফ্রন্টের বিরুদ্ধে নমনীয় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। প্যালেস্তিনিয়দের বিমান-বিধ্বংসী প্রতিরোধ ব্যবস্থার কারণে ইজরায়েলি যুদ্ধ-বিমান ও হেলিকপ্টারগুলো অতীতের মত আর সরাসরি গাজায় এসে হামলা চালানোর সাহস পায় না । ইজরায়েল দূর থেকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বা কামানের গোলা নিক্ষেপ করছে।

এদিকে একই দিনে ইজরায়েলিদের বিরুদ্ধে প্যালেস্তিনিয়দের তিনটি হামলায় ইজরায়েল হতভম্ব হয়ে পড়েছে। ইজরায়েল হিজবুল্লাহর সঙ্গেও যুদ্ধ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করছে। তাই ইজরায়েল দক্ষিণ লেবানন থেকে ইজরায়েলের ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য লেবানন সরকারকে দায়ি করেছে।

ইজরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে শুক্রবার সকালের গুলিবর্ষণের ঘটনাকে ‘বীরোচিত’ আখ্যায়িত করেছে হামাস। তারা বলেছে, এ ঘটনায় প্রমাণিত হল, জায়নবাদী ইজরায়েলের যেকোনো আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে প্রতিরোধ শক্তি।

হামাস আরও বলেছে, প্রতিরোধ অক্ষ প্যালেস্তিনিয় জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে বলেই আল-আকসা মসজিদে হামলাকারীরা বিনা জবাবে পার পাবে না। তিনি আল-আকসা মসজিদকে প্যালেস্তিনিয়দের রেড লাইন বলে মন্তব্য করেন।

হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াও জানিয়েছেন, তারা ইজরায়েলকে কুদস শরিফের ইহুদিকরণ ও আল-আকসা মসজিদের বিভাজন ঘটানোর সুযোগ দেবেন না।

হামাস নেতার দাবি ভেতর থেকেই ক্রমেই বিপর্যস্ত হচ্ছে ‘বলদর্পী’ হিসাবে চিহ্নিত ইজরায়েল। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ির ২০১৫ সালে ঘোষিত সময়সীমা তথা ২৫ বছরের আগেই ইজরায়েলের অবৈধ অস্তিত্ব বিলুপ্ত হতে পারে বলে সম্প্রতি তিনি উল্লেখ করেছেন। ইজরায়েলের রাজনৈতিক সংকট ও বিক্ষোভের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি মন্তব্য করেছেন, ইজরায়েল নিজেই তার পতনকে তরান্বিত করছে।

Leave a comment
scroll to top