Close

আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস, মাথায় হাত পশ্চিমাদের!

আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরো একগুচ্ছ গোপন নথি ফাঁসে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়।

শুক্রবার, ৭ই এপ্রিল বিকেলে আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোপন নথি ফাঁস। জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরো একগুচ্ছ গোপন নথি ফাঁসে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য থেকে চীন সম্পর্কিত তথ্যাদি এভাবে সামনে চলে আসায় বাইডেন প্রশাসন অস্বস্ত্বিতে।

বিশ্লেষকদের মতে ফাঁস হওয়া নথির সংখ্যা সম্ভবত ১০০-র বেশি, এবং সংবেদনশীলতার নিরিখে এই ঘটনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল ক্ষতি করতে পারে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছেন তাদের জনৈক সরকারি প্রতিনিধি। এক বরিষ্ঠ গোয়েন্দা একে পঞ্চচক্ষুর জন্য দুঃস্বপ্ন বলে অভিহিত করেছেন। (পঞ্চচক্ষু বলতে এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড এবং কানাডার গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক।)

সিলভেরাডো পলিসি অ্যাক্সিলারেটরের চেয়ারম্যান দিমিত্রি আলপেরোভিচ বলেছেন, “যদিও নথিগুলিতে নির্দিষ্ট যুদ্ধের পরিকল্পনা নেই, উপাদানটি ক্রেমলিনের জন্য অবিশ্বাস্যভাবে সহায়ক, এতে আক্ষরিক অর্থে যুদ্ধের তথ্য রয়েছে — যে ইউনিটগুলি আসন্ন পাল্টা আক্রমণে জড়িত হবে, তাদের ম্যানিং, সরঞ্জাম এবং প্রশিক্ষণের স্তর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে যা প্রতিরক্ষা স্থাপনের কৌশল নির্ধারণে সহায়ক হতে পারে।”


এক মার্কিন প্রতিনিধি, মিক মুলরয় এই ঘটনাকে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ খামতি বলে বলেছেন, যেভাবে নথিপত্রের ছবি তুলে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে স্পষ্ট যে এটি এমন কারুর কাজ যে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে ইউক্রেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর প্রচেষ্টাকে ধ্বংশ করতে চায়।

পেন্টাগন থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে প্রতিরক্ষা বিভাগ তদন্তে তৎপর হয়েছে। তারা স্বীকার করেছে ফাঁস হওয়া নথিগুলি প্রকৃতই তাদের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নথি। সেখানে ইউক্রেনের যুদ্ধে হতাহতর সংখ্যা ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে সেরম রাশিয়ার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেখানো হয়েছে। শুধু ইউক্রেন প্রসঙ্গ নয় চীন সংক্রান্ত সংবেদনশীল নথির পাশাপাশি সামনে এসেছে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধক্ষেত্র, মধ্যপ্রাচ্য এবং সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নথি, জানিয়েছে সংবাদপত্র নিউ ইয়র্ক টাইমস।

ইউক্রেনের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইউরি বেরেজা, যিনি ইউক্রেনের ন্যাশনাল রক্ষীর একজন ব্যাটালিয়ান কমান্ডার, সম্প্রতি পূর্ব ইউক্রেনে দায়িত্ব সামলেছেন, এই খবর শুনে উপেক্ষা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ এতটাই তীব্র হয়ে উঠেছে যে “আমরা আর নির্ধারণ করতে পারি না কোথায় সত্য এবং কোথায় মিথ্যা।” কর্নেল বেরেজা বলেন, “আমরা যুদ্ধের সেই পর্যায়ে আছি যখন তথ্যযুদ্ধ কখনও কখনও সামনের সরাসরি শারীরিক সংঘর্ষের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”

গুজব নিয়ে গবেষনাকারি একটি ব্রিটিশ সংস্থা লজিকালি-র প্রধান কাইল ওয়াল্টার জানিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট রাশিয়ান টেলিগ্রাম চ্যানেলে রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় হতাহতের তথ্যে “পশ্চিমা প্রভাব” দেখছে। তারা মনে করছে অসম্পাদিত প্রকৃত নথির ছবি যেখানে রাশিয়ার ক্ষয়ক্ষতি ইউক্রেনের তুলনায় বেশি দেখায় তা রাশিয়া এবং রাশিয়ান বাহিনীর দুর্বল মনোবল জাগ্রত করার একটি প্রচেষ্টা।

রাশিয়ায় মেসেজিং ট্র্যাক করে ফিল্টারল্যাবস এআই-এর প্রধান নির্বাহী জোনাথন টিউবনার বলেছেন যে প্রো-ক্রেমলিনপন্থীরা বলছেন এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারাভিযান, কিন্তু এটি ওয়াশিংটন এবং কিভের মধ্যে অবিশ্বাসের বীজ বপন করার চেষ্টা করতে পারে রাশিয়া।

Leave a comment
scroll to top