১৯ মার্চ শনিবারের আচমকা হেলিকপ্টারে একদা ইউক্রেনের শহর মারিওপোল সফরে গেলেন রুশ রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ও উপ প্রধানমন্ত্রী মারাট খুসনুলিন। নিজে গড়ি চালিয়ে মারিওপলের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে পুনর্গঠনের কাজ দেখলেন এবং স্থানীয় মানুষদের সাথে কোথা বলেন রাষ্ট্রপতি পুতিন।শনিবার ছিল ক্রিমেয়া-রুশ “পুনর্মিলনের” নবম বার্ষিকী। তাই এই উপলক্ষেই পুতিন ক্রিমেয়া সফরেও যান। ক্রিমিয়া থেকে হঠাৎ হাজির হন ডনস্টেক এবং মারিয়াপোলে।
মারিয়াপোলে চিকিৎসা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে গিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে ইউক্রেন সেনার মাইন বিছিয়ে রাখা প্রসঙ্গে পুতিন বলেন “কোনো সুস্থ মানুষ এমন করেনা।”
খুসনুলিন বলেন মারিওপলের “স্বাধীনতা” প্রাপ্তির পর তিনি মারিয়াপোল সফরে এসে,নিজের চোখে উদ্বাস্তুদের ও রোগীদের দেখে ছিলেন, তবে অস্ত্রোপচারের কাজ হচ্ছিল পাশের বিল্ডিংয়ে। “চিকিৎসার দরকারি সব সরঞ্জামে মাইন লাগিয়ে রাখা হয়েছিল।” বলেন তিনি। প্রসঙ্গত জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী চিকিৎসা ক্ষেত্রকে সামরিক সংঘাতের বাইরে রাখতে হয়।
মারিয়াপোল ইউক্রেনে “নাৎসি” বলে অভিযুক্ত আজভ ব্যাটেলিয়নের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিলো, যা এখন রাশিয়ার অন্তর্গত। ২০১৪ নির্বাচিত সরকারকে সহিংস পথে উৎখাত করে “ময়দান বিপ্লব” সংগঠিত করার অন্যতম শক্তি ছিলো আজভ ব্যাটেলিয়ন। ২০১৫ সালে এই উগ্র দক্ষিণপন্থী মিলিশিয়াটিকে ইউক্রেনের জাতীয় সুরক্ষা বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, জাতিগত সংখ্যালঘু এবং বামপন্থীদের উপর আক্রমণ এবং হত্যার অভিযোগ আছে আজভ ব্যাটেলিয়নের বিরুদ্ধে। ইউক্রেনের রুশ সংখ্যালঘুরা ২০১৪ সালে “ময়দানে বিপ্লব” এর পর থেকে অভিযোগ করে আসছে যে ইউক্রেনের সেনাকে আসলে নেতৃত্ব দিচ্ছে আজভ ব্যাটেলিয়ন, বিরোধীদের মাথা কেটে নেওয়া আসলে ইউক্রেন সেনা নয় বরং আজভ ব্যাটেলিয়নেরই কাজ বলে অভিযোগ করে তারা।