ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেইনি হাজারো বন্দিকে ক্ষমা করেছেন। ওইসব কারাবন্দি যারা হিজাব বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তারাও ক্ষমা পাবেন। ৫ ফেব্রুয়ারি, রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জনিয়েছে এই ক্ষমা শর্তহীন নয়, ক্ষমা পেতে হতে কিছু শর্ত মেনে চলতে হবে। ১৯৭৯ সালে ইরানের “ইসলামিক বিপ্লবের” ২৪ বছর পূর্তির ঠিক আগের দিন এই ক্ষমা ঘোষণা করা হল।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, বিচার বিভাগের প্রধানের কাছ থেকে চিঠি পাওয়ার পর আয়াতুল্লাহ আলি খোমেইনি এই ক্ষমার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। ইরানের সংবিধানের ১১০ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বিচার বিভাগের পরামর্শক্রমে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা যে কাউকে ক্ষমা করতে পারেন।
বিবিসি জানিয়েছে,খোমেইনির ক্ষমা পেতে হলে কী করতে হবে তা ব্যাখ্যা করেছেন বিচার বিভাগের উপ-প্রধান সাদেক রহিমি। তিনি বলেছেন, যারা ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে তাদের লিখিত ভাবে অঙ্গীকার করতে হবে যে, তারা যা করেছেন তার জন্য তারা অনুতপ্ত।
চিঠিটিতে বলা হয়, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো তাদের মধ্যে অনেকেই বয়সে তরুণ এবং বিদেশী প্রভাব ও প্রচারের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে বিপথগামী হয়েছিলেন। ওই চিঠিতে দাবি করা হয় বন্দিদের মধ্যে অনেকেই এখন অনুশোচনা করছেন এবং ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে বিদেশি সংস্থার হয়ে চরবৃত্তি, হত্যা বা সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার মত অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করা হবে না। বর্তমানে ইরানের কারাগারে আছেন এমন দ্বি-নাগরিকদের বেলাও এই ক্ষমা কার্যকর হবে না।